কলকাতা, 21 জুন: নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে হিংসা নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দিল্লি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও রাজ্যে এসেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, নিজে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রথমে রাজভবন পরে নিজেই বিরোধী দলনেতা প্রস্তাব দিয়েছেন ঘরছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবনের সামনে ধরনায় বসবেন। যদিও এই নিয়ে আদালতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রস্তাব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষও করেছেন তিনি। কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, "উনি (শুভেন্দু অধিকারী) প্রথম আদালতে গিয়েছিলেন রাজ ভবনের সামনে ধরনায় বসবেন বলে আদালত তখন কোনভাবেই তাকে ইন্টারটেন করেনি। এবার তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন ভবানী ভবনের সামনে ধরনা করবেন। গোটা বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। এই নিয়ে নিশ্চয়ই পুলিশ প্রশাসন তাদের বক্তব্য জানাবে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।" তিনি আরও বলেন, "বিজেপি নেতারা আসলে তাদের যে ভরাডুবি হয়েছে এরপর দলীয় কর্মীদের কাছে বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ৷ সে সব থেকেই নজর ঘোরাতে এইসব নাটকের কাণ্ডকারখানা করছেন।"
কুণালের পরামর্শ, "গঙ্গার ধারে অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে ধরনা করুন। ভালো লাগবে। এখানে ওখানের নাটক না করে যাদের বসার ইচ্ছা গঙ্গার ধারে গিয়েই ধরনায় বসুন।" এদিন নির্বাচনী হিংসা নিয়ে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, "নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা বাংলায় ঘটেনি। একমাত্র যেটা হয়েছে সেটা বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত। একমাত্র একজনই এবার ঘর ছাড়া হয়েছেন বিজেপির। তার নাম দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারেরা তাঁকে ঘরছাড়া করেছেন।"
এদিন রাজ্যপালের দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল। তাঁর মতে, "দিল্লিকে খুশি করতেই এসব করছেন রাজ্যপাল। এমনিতেই রাজ্যপাল এমন কিছু কাজ করেছেন পথ ছাড়লেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে। তাই এই মুহূর্তে দিল্লিকে খুশি করে সেসব থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন ।"