কলকাতা, 11 এপ্রিল: কসবায় ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের লাথি মারার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ 9 এপ্রিল এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর রিটন দাসকে কসবার ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হলেও পরে তাঁকে সরিয়ে দিল লালবাজার ৷
কসবায় ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ আরেকটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ডিআই অফিসের তরফে ৷ এই মামলার তদন্তভার প্রথমে বিতর্কিত পুলিশ আধিকারিক রিটন দাসকে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তোলে চাকরিহারাদের একাংশ ৷ এই অবস্থায় চাপের মুখে তাঁকে সরিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ ৷ তাঁর বদলে আরেক পুলিশ আধিকারিককে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তাঁর নাম এখনও জানা যায়নি ৷
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ডিসিপি সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করতে পারেন ৷ যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি কীভাবে এই ঘটনার তদন্ত করতে পারেন ৷"
এই বিষয়ে অবশ্য কোনও ভাবে মুখ খুলতে চাননি কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক গোটা বিষয়টির মাথায় রয়েছেন ৷"
চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ থেকে লাথি মারার ঘটনার পর সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ ভার্মা বলেন, "এই ঘটনা হওয়া উচিত ছিল না ৷" তিনি এই ঘটনার তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ সাবার্বান) বিদিশা কলিতার কাছ থেকে এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৷
এদিকে অভিযুক্ত রিটন দাসকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ৷ চাকরিহারাদের একাংশ অভিযোগ করেন, যে পুলিশকর্মী তাঁদের লাথি মারলেন, তিনি কী তদন্ত করবেন, তা সকলেরই জানা রয়েছে ৷
গত 3 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট 2016 সালের পুরো এসএসসি প্যানেল বাতিল করে দেয় ৷ প্রায় 26 হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাকরিহারা হয়ে যান ৷ তাঁদের মধ্যে যোগ্যরাও রয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে যোগ্য শিক্ষকদের ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা ৷ 9 এপ্রিল রাজ্যজুড়ে সমস্ত ডিআই অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল চাকরিহারাদের একাংশ ৷ এরপর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কসবা ডিআই অফিস ৷ সেখানে দেখা যায়, একজন সাব ইন্সপেক্টর রিটন দাস একজন শিক্ষককে লাথি মারছেন ৷