ETV Bharat / state

ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার খোদ কলকাতা পুলিশের আধিকারিক, খোয়ালেন 17 লাখ ! - DIGITAL ARREST

সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ৷ গ্রেফতারির হুমকি কলকাতা পুলিশের আধিকারিককে ৷

DIGITAL ARREST
লালবাজার ৷ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 29, 2025 at 8:00 PM IST

3 Min Read

কলকাতা, 29 এপ্রিল: সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে প্রতারণা ৷ ডিজিটাল অ্যারেস্টের হুমকি দিয়ে 17 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করল সাইবার দস্যুরা ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে লালবাজারের অন্দরমহলে ৷

এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার ৷ ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন, কলকাতা পুলিশের তরফে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলছে ৷ আর এরই মধ্যে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পা দিয়ে 17 লক্ষ টাকা খোয়ালেন খোদ কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা ৷"

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের কাছে ফোন আসে ৷ ফোনের ওপার থেকে সিবিআইয়ের আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া হয় ৷ বলা হয়, তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট 67টি সাইবার মামলা আছে ৷ ফলে তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে ৷ তবে, তিনি যদি এই মামলা থেকে মুক্তি চান তবে, তাদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 17 লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ তাহলে সেই সাইবার অপরাধ থেকে তাঁর নাম তুলে নেওয়া হবে ৷

অভিযোগ, ভয় পেয়ে ওই কলকাতা পুলিশের আধিকারিক তাঁদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 17 লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে দেন ৷ তবে, এরপরে তাঁর টনক নড়ে যে, গোটা বিষয়টি একেবারে মিথ্যে ৷ আসলে কোনও সাইবার প্রতারণা মামলা তাঁর নামে রুজু হয়নি ৷ বরং, তিনি সাইবার প্রতারকদের কবলে পড়ে গিয়েছেন ৷

কিন্তু, কীভাবে একথা লোকজনকে বলবেন, যেখানে তিনি নিজে পুলিশ আধিকারিক ৷ তার মধ্যে ডিজিটাল অ্যারিস্টের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে 17 লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ৷ তাই বিষয়টি প্রথমে তিনি লালবাজারের আধিকারিকদের জানান ৷ পরে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন তিনি ৷ তাঁর নিজের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল ৷

তবে, প্রশ্ন উঠেছে যে একজন পুলিশকর্মী হয়ে কীভাবে তিনি এই প্রতারণার ফাঁদে জড়িয়ে পড়লেন ? লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত নেমে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ যে সব নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেগুলি ট্র্যাক করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনকি প্রতারকদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ চালানো হচ্ছে ৷

ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার একজন বৃদ্ধের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ তবে, সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চিরাগ পাসওয়ান নামে প্রতারণা চক্রে মূল কাণ্ডারীকে ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ৷

লালবাজার সূত্রে খবর, এই চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে জানার জন্য চিরাগ পাসওয়ানকে ফের একবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা ৷

কলকাতা, 29 এপ্রিল: সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে প্রতারণা ৷ ডিজিটাল অ্যারেস্টের হুমকি দিয়ে 17 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করল সাইবার দস্যুরা ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে লালবাজারের অন্দরমহলে ৷

এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার ৷ ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন, কলকাতা পুলিশের তরফে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলছে ৷ আর এরই মধ্যে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পা দিয়ে 17 লক্ষ টাকা খোয়ালেন খোদ কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা ৷"

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের কাছে ফোন আসে ৷ ফোনের ওপার থেকে সিবিআইয়ের আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া হয় ৷ বলা হয়, তাঁর নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট 67টি সাইবার মামলা আছে ৷ ফলে তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে ৷ তবে, তিনি যদি এই মামলা থেকে মুক্তি চান তবে, তাদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 17 লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ তাহলে সেই সাইবার অপরাধ থেকে তাঁর নাম তুলে নেওয়া হবে ৷

অভিযোগ, ভয় পেয়ে ওই কলকাতা পুলিশের আধিকারিক তাঁদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 17 লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে দেন ৷ তবে, এরপরে তাঁর টনক নড়ে যে, গোটা বিষয়টি একেবারে মিথ্যে ৷ আসলে কোনও সাইবার প্রতারণা মামলা তাঁর নামে রুজু হয়নি ৷ বরং, তিনি সাইবার প্রতারকদের কবলে পড়ে গিয়েছেন ৷

কিন্তু, কীভাবে একথা লোকজনকে বলবেন, যেখানে তিনি নিজে পুলিশ আধিকারিক ৷ তার মধ্যে ডিজিটাল অ্যারিস্টের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে 17 লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ৷ তাই বিষয়টি প্রথমে তিনি লালবাজারের আধিকারিকদের জানান ৷ পরে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন তিনি ৷ তাঁর নিজের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল ৷

তবে, প্রশ্ন উঠেছে যে একজন পুলিশকর্মী হয়ে কীভাবে তিনি এই প্রতারণার ফাঁদে জড়িয়ে পড়লেন ? লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তদন্ত নেমে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ যে সব নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেগুলি ট্র্যাক করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনকি প্রতারকদের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ চালানো হচ্ছে ৷

ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণার ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার একজন বৃদ্ধের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ তবে, সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চিরাগ পাসওয়ান নামে প্রতারণা চক্রে মূল কাণ্ডারীকে ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ৷

লালবাজার সূত্রে খবর, এই চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে জানার জন্য চিরাগ পাসওয়ানকে ফের একবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.