কলকাতা, 29 এপ্রিল: কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখনও বড় সংখ্যায় বাসিন্দারা নির্ভর করে থাকেন ভূগর্ভস্থ জলের উপর । প্রতিদিন প্রায় 40 মিলিয়ন গ্যালন জল উত্তোলন করে পানীয় জল সরবরাহ বিভাগ । এবার সেই জলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেবে কর্পোরেশন । তৈরি হচ্ছে একাধিক বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার এবং ধাপা ও ঢালাই ব্রিজে জল উৎপাদন কেন্দ্র ।
এই মুহূর্তে কলকাতার যাদবপুর-সহ আশপাশের এলাকা, বেহালা, টালিগঞ্জ, জোকা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস, গড়িয়া, প্রায় পাঁচটি বরো এলাকার প্রায় 30টির বেশি ওয়ার্ডের মানুষ এই গভীর নলকূপের জলের উপর নির্ভর করেন । পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের দাবি অনুসারে প্রতিদিন চাহিদার সাত শতাংশ পূরণ করে এই গভীর নলকূপের জল ।
এই সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় 9-10 লাখ । কলকাতা পুরনিগমের পানীয় জল সরবরাহ বিভাগ উদ্যোগ নিচ্ছে এই গভীর নলকূপের জল ব্যবহার কমিয়ে আনার । গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে ও ধাপায় হচ্ছে নতুন জল উৎপাদন প্রকল্প । এই দুই জায়গায় উৎপাদিত জল উপরে উল্লেখিত জায়গায় পৌঁছাতে তৈরি হচ্ছে একাধিক বুস্টিং সেন্টার । ধাপা জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষের জন্য তোড়জোড় নিচ্ছে পুরনিগম । একই সঙ্গে কাজ হচ্ছে ঢালাই ব্রিজে জল পরিশোধন কেন্দ্রের ।
কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধাপায় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে । 130 কোটির বেশি খরচ । ঢালাই ব্রিজে চলছে কাজ আমাদের লক্ষ্য যে অংশগুলিতে গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়, সেই এলাকাগুলিতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে । ধাপায় 20 মিলিয়ন গ্যালন জল অতিরিক্ত ও ঢালাই ব্রিজে 10 মিলিয়ন গ্যালন উৎপাদিত হবে ।’’
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে । তিনি জানতে চেয়েছিলেন কলকাতায় ক্রমশ ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমছে । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কলকাতায় অনেক জায়গায় গভীর নলকূপের উপর নির্ভর করতে হয় । কলকাতায় প্রতিদিন কত জল তোলা হয় । তার উত্তরেই মেয়র জানিয়েছেন, 40 মিলিয়ন গ্যালন জল তোলা হয় । তবে দুই প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও প্রায় 10 মিলিয়ন গ্যালন জল প্রতিদিন তোলা হবে বলেই মনে করছেন কর্পোরেশনের আধিকারিকরা ।
উল্লেখ্য, কলকাতায় ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন নিষিদ্ধ । তবে পরিশ্রুত পানীয় জল না দিতে পারায় পাঁচটি বরো এলাকায় কর্পোরেশনের তরফেই গভীর নলকূপ বসিয়ে জল তোলা হয় ।
