ETV Bharat / state

বড়বাজারে ফায়ার এক্সিট আটকে বেআইনি নির্মাণ, কাজ বন্ধের নোটিশ পৌরনিগমের - Kolkata Municipal Corporation

Kolkata Municipal Corporation: বড়বাজার এলাকায় দু’টি বহুতলের ফায়ার এক্সিটে চলছে বেআইনি নির্মাণ ৷ সেই নির্মাণ বন্ধে নোটিশ দিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ গার্ডেনরিচের ঘটনার পর এই সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে কলকাতা পৌরিনগম ৷ নোটিশে কাজ না হলে আইনি পথে হাঁটবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 9, 2024, 6:08 PM IST

Kolkata Municipal Corporation
Kolkata Municipal Corporation

কলকাতা, 9 এপ্রিল: গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কলকাতা পৌরনিগম ৷ তাই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ৷ পৌরনিগমের হুঁশিয়ারিতে কান না দিলে আইন মেনে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগরি মার্কেটের উলটোদিকেই সিনাগগ স্ট্রিট । 5 নম্বর সিনাগগ স্ট্রিটের দু’টি বহুতলের মাঝে যেখানে ফায়ার এক্সিট, সেই জায়গা ঢেকে দেওয়া হয়েছে টিন দিয়ে ৷ চলছে বেআইনি নির্মাণ ৷ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্য়ামেরা ৷ নিচের ওই অংশে ছোট ছোট স্টল করে দোকান বিক্রি হচ্ছে ৷ যার প্রতি বর্গ ফুটের দাম প্রায় লক্ষাধিক টাকা ।

বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে 45 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের ৷ তিনি কলকাতা পৌরনিগমের বিল্ডিং বিভাগে বিষয়টি জানান ৷ তার পরেই তৎপর হয় কলকাতা পৌরনিগম । ইঞ্জিনিয়াররা পৌঁছে কলকাতা কর্পোরেশন ওয়ার্ড ডায়েরি অ্যাপের মাধ্যমে লগবুকে তথ্য নথিভুক্ত করেন । ওই নির্মাণ বন্ধে পৌর আইনের 401 ধারায় নোটিশ দেওয়া হয় ৷

KMC
এখানেই চলছে অবৈধ নির্মাণ৷

পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ রেয়াত করা হবে না । আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্র একদম অ্যাপ মারফত সব তথ্য সংগ্রহ করে নোটিশ পাঠিয়েছি । নোটিশ তোয়াক্কা না করলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেব । আপৎকালীন পথ এই ভাবে দোকান বসানো বা বিক্রি করা যায় না । আগুন লাগলে মর্মান্তিক পরিণতি হবে ।’’

ওই দু’টি ভবনের একাধিক অফিসে কয়েকশো কর্মী প্রতিদিন কাজ করেন । এর থেকে স্পষ্ট কেন পৌরনিগমের ওই আধিকারিক মর্মান্তিক পরিণতির কথা বলেছেন ৷ প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে নজর এড়িয়ে গেল পুলিশ-প্রশাসনের ? সূত্রের খবর যে ঠিকাদার কাজ করছেন, তিনি শাসক দলের এক নেতার ঘনিষ্ঠ ৷ তাহলে কি শাসক দলের ওই নেতার মদতে এই বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে ?

KMC
এখানেই চলছে অবৈধ নির্মাণের প্রেক্ষিতে জারি করা নোটিশ৷

তবে এই বেআইনি নির্মাণ আজকের নয় ৷ এক দশকের বেশি সময় আগে এই নিয়ে একবার হইচই হয়েছিল ৷ 2012 সালে নোটিশ দেওয়া হয় কাজ বন্ধের । এর পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ আদালতের রায়ে 2016 নির্মাণ কাজ বন্ধ করা ও বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয় । তার পর আবার কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, এবারও পৌরনিগমের নোটিশে কাজ হবে তো ?

পৌরনিগমের একটি সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে । মেয়র ইঞ্জিনিয়রদের অভয় দিয়েছেন কোনও ধরনের চাপের মুখে নতিস্বীকার নয় । পাশাপশি ঝুঁকি থাকলে তাঁকে জানাতে । তাই অনেকের মতে এবার হয়তো বন্ধ করা যাবে এই বেআইনি নির্মাণ ৷

আরও পড়ুন:

  1. বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত নয়, ইঞ্জিনিয়ারদের বৈঠকে জিরো টলারেন্সের বার্তা ফিরহাদের
  2. শহরের কোথায় লুকিয়ে বেআইনি নির্মাণ ? তথ্য দেবে পৌরনিগমের অ্যাপ
  3. শহরের বেআইনি নির্মাণ থেকে ‘আইন’ মাফিক সম্পত্তি কর আদায় করে কলকাতা পৌরনিগম

কলকাতা, 9 এপ্রিল: গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কলকাতা পৌরনিগম ৷ তাই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ৷ পৌরনিগমের হুঁশিয়ারিতে কান না দিলে আইন মেনে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে ৷

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগরি মার্কেটের উলটোদিকেই সিনাগগ স্ট্রিট । 5 নম্বর সিনাগগ স্ট্রিটের দু’টি বহুতলের মাঝে যেখানে ফায়ার এক্সিট, সেই জায়গা ঢেকে দেওয়া হয়েছে টিন দিয়ে ৷ চলছে বেআইনি নির্মাণ ৷ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্য়ামেরা ৷ নিচের ওই অংশে ছোট ছোট স্টল করে দোকান বিক্রি হচ্ছে ৷ যার প্রতি বর্গ ফুটের দাম প্রায় লক্ষাধিক টাকা ।

বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে 45 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের ৷ তিনি কলকাতা পৌরনিগমের বিল্ডিং বিভাগে বিষয়টি জানান ৷ তার পরেই তৎপর হয় কলকাতা পৌরনিগম । ইঞ্জিনিয়াররা পৌঁছে কলকাতা কর্পোরেশন ওয়ার্ড ডায়েরি অ্যাপের মাধ্যমে লগবুকে তথ্য নথিভুক্ত করেন । ওই নির্মাণ বন্ধে পৌর আইনের 401 ধারায় নোটিশ দেওয়া হয় ৷

KMC
এখানেই চলছে অবৈধ নির্মাণ৷

পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ রেয়াত করা হবে না । আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্র একদম অ্যাপ মারফত সব তথ্য সংগ্রহ করে নোটিশ পাঠিয়েছি । নোটিশ তোয়াক্কা না করলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেব । আপৎকালীন পথ এই ভাবে দোকান বসানো বা বিক্রি করা যায় না । আগুন লাগলে মর্মান্তিক পরিণতি হবে ।’’

ওই দু’টি ভবনের একাধিক অফিসে কয়েকশো কর্মী প্রতিদিন কাজ করেন । এর থেকে স্পষ্ট কেন পৌরনিগমের ওই আধিকারিক মর্মান্তিক পরিণতির কথা বলেছেন ৷ প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে নজর এড়িয়ে গেল পুলিশ-প্রশাসনের ? সূত্রের খবর যে ঠিকাদার কাজ করছেন, তিনি শাসক দলের এক নেতার ঘনিষ্ঠ ৷ তাহলে কি শাসক দলের ওই নেতার মদতে এই বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে ?

KMC
এখানেই চলছে অবৈধ নির্মাণের প্রেক্ষিতে জারি করা নোটিশ৷

তবে এই বেআইনি নির্মাণ আজকের নয় ৷ এক দশকের বেশি সময় আগে এই নিয়ে একবার হইচই হয়েছিল ৷ 2012 সালে নোটিশ দেওয়া হয় কাজ বন্ধের । এর পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ আদালতের রায়ে 2016 নির্মাণ কাজ বন্ধ করা ও বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয় । তার পর আবার কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, এবারও পৌরনিগমের নোটিশে কাজ হবে তো ?

পৌরনিগমের একটি সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে । মেয়র ইঞ্জিনিয়রদের অভয় দিয়েছেন কোনও ধরনের চাপের মুখে নতিস্বীকার নয় । পাশাপশি ঝুঁকি থাকলে তাঁকে জানাতে । তাই অনেকের মতে এবার হয়তো বন্ধ করা যাবে এই বেআইনি নির্মাণ ৷

আরও পড়ুন:

  1. বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত নয়, ইঞ্জিনিয়ারদের বৈঠকে জিরো টলারেন্সের বার্তা ফিরহাদের
  2. শহরের কোথায় লুকিয়ে বেআইনি নির্মাণ ? তথ্য দেবে পৌরনিগমের অ্যাপ
  3. শহরের বেআইনি নির্মাণ থেকে ‘আইন’ মাফিক সম্পত্তি কর আদায় করে কলকাতা পৌরনিগম
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.