ETV Bharat / state

জানেন কীভাবে হাই-প্রোফাইল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় ? জানালেন সাইবার বিশেষজ্ঞ - Cyber expert on exam paper leak

Cyber expert on exam paper leak: নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় দেশ ৷ চলছে সিবিআই তদন্ত ৷ কীভাবে এমন হাই-প্রোফাইল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে ? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার রেজা আহমের সঙ্গে কথা বলল ইটিভি ভারত ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 27, 2024, 7:59 PM IST

ETV BHARAT
সাইবার বিশেষজ্ঞের মুখোমুখি ইটিভি ভারত (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 27 জুন: মেডিক্যালে পড়াশোনার জন্য সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট 2024-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ ৷ এরকম হাই-প্রোফাইল একটা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কীভাবে ফাঁস হয়েছে, কারা এর পিছনে আছে, তারই তদন্তে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ দেশবাসীর মনেও এই একটাই প্রশ্ন, প্রযুক্তির মাধ্যমে ঠিক কীভাবে এত বড় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে ? এই প্রশ্নের জবাব পেতে সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার রেজা আহমের সঙ্গে কথা বলেছে ইটিভি ভারত ৷

সাইবার বিশেষজ্ঞের মুখোমুখি ইটিভি ভারত (নিজস্ব ভিডিয়ো)

রেজা আহমেদ জানালেন, ইন্টারনেট মূলত তিন প্রকারের হয় । সারফেস ওয়েব, ডিপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব । সব থেকে নীচে থাকে ডার্ক ওয়েব । আমরা গুগলে যে সব জিনিস সার্চ করি, সেগুলি সবই সারফেস ওয়েবের মধ্যে পড়ে । সেটি চার থেকে পাঁচ শতাংশ । আর ডিপ ওয়েব হল, যদি কোনও ব্যক্তি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা টুইটার অ্যাকাউন্ট কিংবা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে থাকেন, সে ক্ষেত্রে সেগুলি ডিপ ওয়েবের মধ্যে পড়বে । আর বাকি সবটাই পড়ে ডার্ক ওয়েবের মধ্যে ।

সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, "আমরা যদি কোনও ব্যক্তির আধার কার্ডের খুঁটিনাটি তথ্য পেতে চাই, সেক্ষেত্রে আমরা সেগুলি গুগল থেকে পাব না । সেগুলি রয়েছে ডার্ক ওয়েবে । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ কোনও বেআইনি কাজ নয়, কিন্তু ডার্ক ওয়েবের ভেতরে ঢুকে কোনও আর্থিক লেনদেন করা পুরোপুরি বেআইনি । এই সকল তথ্য আমরা ইন্টারনেটে বসে পাই না, সেইগুলি ডার্ক ওয়েবে সঞ্চিত থাকে । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করে কেউ যদি কিছু সার্চ করেন, তখন কেউ তাঁকে ধরতে পারবে না । তাঁর নাম পরিচয়, আইপি অ্যাড্রেস কিছুই পাওয়া যাবে না । এই ডার্ক ওয়েব পুরোপুরি চলে বেশ কিছু টরের মাধ্যমে । এই টর হল মূলত একটি বিশেষ ব্রাউজার । এই ব্রাউজারে ঢুকেই সাইবার দস্যুরা কাজ করে ৷"

রেজা আহমেদের কথায়, "এই টর ব্রাউজারে ঢুকে গেলে কোনও অভিযুক্তের নাম পরিচয় বা তাদের আইপি অ্যাড্রেস তদন্তকারী এজেন্সি কখনওই পাবে না । সেজন্যই এটিকে ব্যবহার করে অভিযুক্তরা ৷ এই টর ব্রাউজারটি মূলত একটি পিঁয়াজের খোসার মতো । একটির পর একটি টর ব্রাউজার বা টর লেয়ারে রয়েছে বিভিন্ন সাসপেন্স । এই টরের মাধ্যমে ডার্ক ওয়েবে ঢুকে বেশকিছু মেইল আইডি ক্রিয়েট করে সাইবার দস্যুরা বিভিন্ন ব্যাংক জালিয়াতি থেকে শুরু করে সাইবার অপরাধ করছে ।"

বিভিন্ন হাই-প্রোফাইল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রেও এই টর ব্রাউজারে ঢুকে সার্চ করে অভিযুক্তরা প্রশ্নপত্রের হদিশ পায় বলে জানালেন সাইবার বিশেষজ্ঞ রেজা আহমেদ ৷ তিনি বলেন, "টর ব্রাউজারে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ডার্ক ওয়েবে তা ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা ৷ আবার সেই প্রশ্নপত্র দেওয়ার বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ-ও করে ৷ ফলে এই গোটা অপরাধটি ঠিক কারা করেছে, তা খুঁজে বের করা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে যথেষ্ট কষ্টের ৷ এই তদন্তের নিষ্পত্তি হতে হতে আরও একটা কেলেঙ্কারি সামনে এসে যাবে ৷"

কলকাতা, 27 জুন: মেডিক্যালে পড়াশোনার জন্য সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট 2024-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ ৷ এরকম হাই-প্রোফাইল একটা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কীভাবে ফাঁস হয়েছে, কারা এর পিছনে আছে, তারই তদন্তে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ দেশবাসীর মনেও এই একটাই প্রশ্ন, প্রযুক্তির মাধ্যমে ঠিক কীভাবে এত বড় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে ? এই প্রশ্নের জবাব পেতে সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার রেজা আহমের সঙ্গে কথা বলেছে ইটিভি ভারত ৷

সাইবার বিশেষজ্ঞের মুখোমুখি ইটিভি ভারত (নিজস্ব ভিডিয়ো)

রেজা আহমেদ জানালেন, ইন্টারনেট মূলত তিন প্রকারের হয় । সারফেস ওয়েব, ডিপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব । সব থেকে নীচে থাকে ডার্ক ওয়েব । আমরা গুগলে যে সব জিনিস সার্চ করি, সেগুলি সবই সারফেস ওয়েবের মধ্যে পড়ে । সেটি চার থেকে পাঁচ শতাংশ । আর ডিপ ওয়েব হল, যদি কোনও ব্যক্তি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা টুইটার অ্যাকাউন্ট কিংবা অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে থাকেন, সে ক্ষেত্রে সেগুলি ডিপ ওয়েবের মধ্যে পড়বে । আর বাকি সবটাই পড়ে ডার্ক ওয়েবের মধ্যে ।

সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, "আমরা যদি কোনও ব্যক্তির আধার কার্ডের খুঁটিনাটি তথ্য পেতে চাই, সেক্ষেত্রে আমরা সেগুলি গুগল থেকে পাব না । সেগুলি রয়েছে ডার্ক ওয়েবে । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ কোনও বেআইনি কাজ নয়, কিন্তু ডার্ক ওয়েবের ভেতরে ঢুকে কোনও আর্থিক লেনদেন করা পুরোপুরি বেআইনি । এই সকল তথ্য আমরা ইন্টারনেটে বসে পাই না, সেইগুলি ডার্ক ওয়েবে সঞ্চিত থাকে । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করে কেউ যদি কিছু সার্চ করেন, তখন কেউ তাঁকে ধরতে পারবে না । তাঁর নাম পরিচয়, আইপি অ্যাড্রেস কিছুই পাওয়া যাবে না । এই ডার্ক ওয়েব পুরোপুরি চলে বেশ কিছু টরের মাধ্যমে । এই টর হল মূলত একটি বিশেষ ব্রাউজার । এই ব্রাউজারে ঢুকেই সাইবার দস্যুরা কাজ করে ৷"

রেজা আহমেদের কথায়, "এই টর ব্রাউজারে ঢুকে গেলে কোনও অভিযুক্তের নাম পরিচয় বা তাদের আইপি অ্যাড্রেস তদন্তকারী এজেন্সি কখনওই পাবে না । সেজন্যই এটিকে ব্যবহার করে অভিযুক্তরা ৷ এই টর ব্রাউজারটি মূলত একটি পিঁয়াজের খোসার মতো । একটির পর একটি টর ব্রাউজার বা টর লেয়ারে রয়েছে বিভিন্ন সাসপেন্স । এই টরের মাধ্যমে ডার্ক ওয়েবে ঢুকে বেশকিছু মেইল আইডি ক্রিয়েট করে সাইবার দস্যুরা বিভিন্ন ব্যাংক জালিয়াতি থেকে শুরু করে সাইবার অপরাধ করছে ।"

বিভিন্ন হাই-প্রোফাইল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রেও এই টর ব্রাউজারে ঢুকে সার্চ করে অভিযুক্তরা প্রশ্নপত্রের হদিশ পায় বলে জানালেন সাইবার বিশেষজ্ঞ রেজা আহমেদ ৷ তিনি বলেন, "টর ব্রাউজারে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর ডার্ক ওয়েবে তা ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা ৷ আবার সেই প্রশ্নপত্র দেওয়ার বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ-ও করে ৷ ফলে এই গোটা অপরাধটি ঠিক কারা করেছে, তা খুঁজে বের করা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে যথেষ্ট কষ্টের ৷ এই তদন্তের নিষ্পত্তি হতে হতে আরও একটা কেলেঙ্কারি সামনে এসে যাবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.