কলকাতা, 17 মে: তীব্র গরমে হাসফাস অবস্থা প্রায় সকলের। দিনে কেউ দুবার কেউ তিনবার পর্যন্ত স্নান করছেন। তাতে অল্প স্বস্তি মিলছে। বেড়েছে জল পানের পরিমাণ। যখন জলের চাহিদা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, তখনই গঙ্গার জলস্তর কমছে গরমের জেরে। ফলে কলকাতা কর্পোরেশন জল সরবরাহ বিভাগ কার্যত হিমসিম খাচ্ছে। উৎপাদন বাড়িয়ে কোনও মতে সংকট মোকাবিলায় করে চলেছে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, মে মাস পড়তেই মাত্রাতিরিক্ত গরমে হাসফাস করছেন মানুষজন। এদিকে গঙ্গার জলস্তর কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে চাহিদা অনুসারে নাগরিকদের জল দেওয়া রীতিমত কঠিন কাজ। এই সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র সর্বোচ্চ ক্ষমতায় গিয়ে জল উৎপাদন করে চলেছে। ইনটেক জেটিতে চালানো হচ্ছে অতিরিক্ত সময় পাম্প।
মূল কলকাতা বাদে সংযুক্ত এলাকায় এখনও ব্যাপক জলকষ্ট। গরম পড়তেই অন্য জায়গার সঙ্গে সেখানেও বেড়েছে জলের চাহিদা। ফলে পলতা জল উৎপাদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে গার্ডেনরিচ ওয়াটার ওয়ার্কস, জোড়াবাগান ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বেড়েছে উৎপাদনের মাত্রা। ধাপাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন।
পলতা উৎপাদন কেন্দ্রের জল টালা জলাধারের মাধ্যমে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, মধ্য কলকাতার বাসিন্দারা জল পান। পাশাপাশি, এই জল যায় বিধাননগর, নব দিগন্ত এলাকায়। গার্ডেনরিচ জল যায় গার্ডেনরিচ , মেটিয়াবুরুজ, দক্ষিণ কলকাতা, বজবজ, পূজালী এলাকায়।
ধাপা জয়হীন্দ জল প্রকল্প জল যায় বাই পাসের দুই ধারে, দক্ষিণ কলকাতার সংযুক্ত এলাকায়। ধাপা ও গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে উৎপাদন কেন্দ্র হলে খানিক স্বস্তি মিলবে। একটি 20 মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন আরেকটি 10 মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন উৎপাদন হবে। অর্থাৎ, 30 মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন অতিরিক্ত উৎপাদন হবে। গরমের জেরে সংযুক্ত এলাকার যেসব জায়গায় পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছায় না, জল মেলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাদের ভরসা করতে হয় গভীর নলকূপের উপর। এই সময় মাটির নিচের জলস্তরও কমে যায়।
কলকাতা কর্পোরেশন এক আধিকারিক বলেন, প্রতিদিন 7-8 মিলিয়ন গ্যালন অতিরিক্ত উৎপাদন করতে হচ্ছে জল। তাই কোনও মতে সঙ্কট ঠেকিয়ে রাখা গিয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গেই পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে কলকাতায়। পরিস্থিতি বুঝে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। এখন প্ল্যান্টগুলির সর্বোচ্চ ক্ষমতায় গিয়ে উৎপাদন করছে। আধিকারিকের কথায়, এই সমস্ত এলাকায় জলের বাড়তি চাহিদা মেটাতে বারে বারে বড় মাঝারি ছোট জলের ট্যাঙ্ক পাঠাতে হচ্ছে।
এশিয়ার বৃহত্তম ফুলের বাজার মল্লিক ঘাটের খোলনলচে বদলের সিদ্ধান্ত কর্পোরেশনের