কলকাতা, 17 মে: কমিশনের সাইটে ঢুকে বেআইনিভাবে অযোগ্য ভোটারদের নাম ঢোকানোর অভিযোগ ৷ কাকদ্বীপের ঘটনায় এসডিও বা মহকুমা শাসকের তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হল অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াইকে ৷ শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে ৷
অভিযোগ, কাকদ্বীপের যুগ্ম বিডিও তথা সহকারি ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সিস্টেমে অবৈধভাবে লগইন করে যোগ্য ভোটারের নাম বাদ দিয়ে দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াই ৷ এরপর অযোগ্য ভোটারদের নাম সেই জায়গায় তুলে দেন তিনি ৷

কমিশন সূত্রে খবর, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অভিযুক্ত অরুণ গড়াইকে শোকজ করে কমিশন ৷ কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক এই ঘটনার তদন্ত করেন ৷ অরুণ গড়াই নিজের দোষ স্বীকারও করেন ৷ সেই সঙ্গে মহকুমা শাসকের তদন্ত রিপোর্ট ও প্রমাণের ভিত্তিতে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী অরুণ গড়াইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷

অন্যদিকে, রাজ্যের প্রায় সাড়ে আট হাজার এপিক বা ভোটার কার্ড বাতিল করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ৷ জানা গিয়েছে, ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটার কার্ড এই রাজ্যে পাওয়া গিয়েছে ৷ যার 95 শতাংশ হরিয়ানার এপিক কার্ডের নম্বরের সঙ্গে নকল হয়েছে ৷ তারপরেই রয়েছে গুজরাত ও অসম ৷
তবে, রাজ্যের এপিক কার্ডগুলি বাতিল করে দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে, সেইসব ভোটারদের নয়া এপিক কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কমিশন ৷ ইতিমধ্যে, বেশিরভাগ ভোটারের কাছে নতুন কার্ড পৌঁছে গিয়েছে ৷ আর যাঁরা বাকি রয়েছেন, তাঁদের কাছেও কয়েকদিনের মধ্যে সেই ভোটার কার্ডগুলি পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ৷