জলপাইগুড়ি, 18 সেপ্টেম্বর: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে 'উইনার্স টিম'-এর মহিলা পুলিশ কর্মীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল । পূর্ত দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলা পুলিশ কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই কর্মীকে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সদর হাসপাতালে পূর্ত দফতরের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের রাতের শিফটে থাকা কয়েকজন কর্মী মদ্যপ অবস্থায় কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের মতো জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি এবং সদর হাসপাতালের নিরাপত্তাও আঁটোসাটো করেছে জেলা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওইদিন রাতে সদর হাসপাতালে টহলে বেরিয়ে ছিলেন মহিলা থানার পুলিশ কর্মী এবং উইনার্স টিমের সদস্যারা। মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে যাওয়ার পথে হাসপাতালে কর্তব্যরত পূর্ত দফতরের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ঠিকাদার সংস্থায় নিযুক্ত কয়েকজন কর্মী মদ্যপ অবস্থায় আপত্তিকর মন্তব্য করে। মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন মহিলা থানার পুলিশ কর্মীরা। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মীরা এসে দুই মদ্যপকে আটক করে নিয়ে যায় ।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, "উইনার্স টিমের সদস্যদের হেনস্থা করেছে দুই ব্যক্তি। পাশাপাশি অশালীন কথাবার্তাও বলা হয়েছে। এই সমস্ত বিষয় একেবারেই সহ্য করব না।" এরপরই উইনার্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিক-চিকিৎসক কল্যাণ খাঁ বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হাসপাতালের কর্মী নয়। তারা পূর্ত দফতরের একটি এজেন্সির সূত্রে এখানে এসেছে। হাসপাতাল চত্ত্বরে আমরা কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত করব না ৷ হাসপাতাল এলাকায় প্রতিদিন রাতে জেলা পুলিশের উইনার্স টিম পেট্রোলিং করে। হাসপাতালের আনাচে কানাচে গিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছেন তারা ৷ তাদের সঙ্গে এমন আচরণ কখনওই বরদাস্ত করা হবে না ৷ গতকাল রাতেই পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশকে হাসপাতালের তরফে ওই কর্মীদের নাম ঠিকানা সব দেওয়া হয়েছে।"