ETV Bharat / state

5 বন্ধু-বান্ধবীকে নিয়ে মামাকে খুন, এক বছরের মধ্যে ফাঁসির সাজা ভাগ্নের - Death Sentence for Killing Uncle

Death Sentence for Killing Uncle: পাঁচজন বন্ধু-বান্ধবীকে নিয়ে মামাকে খুনের এক বছরের মধ্যেই ফাঁসির সাজা পেলেন ভাগ্নে ৷ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি আদালত ৷ ভালো তদন্তের জন্য তদন্তকারী আধিকারিককে সম্মানিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 23, 2024, 4:53 PM IST

ETV BHARAT
মামাকে খুনের এক বছরের মধ্যে ফাঁসির সাজা ভাগ্নের (নিজস্ব চিত্র)

জলপাইগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর: মামাকে খুনের অভিযোগে ভাগ্নেকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিলেন বিচারক । টাকা-পয়সা হাতানোর জন্য বন্ধু-বান্ধবীদের ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে এসে মামাকে খুন করেছিল ভাগ্নে । ঘটনার পরের দিনই ধূপগুড়ি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই বান্ধবী-সহ চার বন্ধু ।

গত বছর 27 জুলাই ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ির সাকোয়াঝোড়ার আংরাভাষা এলাকায় । মামার বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে মামাকে খুন করে ভাগ্নে ৷ গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মেহতাব হোসেনকে । গুরুতর আহত হন মেহতাবের স্ত্রী মৌমিতা দাস (33)। খুনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগ্নে আফতাব হোসেনকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ৷ তার এক বছরের মধ্যেই সাজা ঘোষণা হল । সম্পত্তি হাতানোর জন্যই মামাকে খুন করে বৃষ্টির রাতে পালাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয় অভিযুক্তরা । তবে এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশের তৎপরতায় অপরাধীরা পালাতে পারেনি ৷

জলপাইগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামাকে খুনের ঘটনাটি ঘটে 27/7/23 তারিখে ৷ মামার বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে মামাকে খুন করার পাশাপাশি মামিকেও খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত আফতাব আলম । 28/7/23 তারিখে ধূপগুড়ি থানায় মামলা রুজু করা হয় । ঘটনার পর তদন্তকারী অফিসার চার্জশিট দেন 9/10/23 তারিখে । ধৃতদের বিরুদ্ধে 397/396/398 ধারায় মামলা করা হয় ৷ মৃতের দুই নাবালক ছেলে, স্ত্রী-সহ 17 জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় । বিচারক রিন্টু সুর আজ আফতাব আলমকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন । পাশাপাশি মৃতের নাবালক দুই পুত্রকে 3 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । অন্যদিকে, তদন্তকারী অফিসার বিনয় যাদবকে ভালো তদন্ত করার জন্য সম্মানিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।

এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মৃতের স্ত্রী মৌমিতা দাস জানান, "ঘটনার দিন আমাকে খুনের চেষ্টা করেছিল । আমার স্বামীকে খুন করে । ছয়জন মিলে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল । আজ আফতাবের ফাঁসির সাজা হওয়ায় আমি খুব খুশি ।"

ঘটনার দিন পেশায় বিমা এজেন্ট আংরাভাষার বাসিন্দা মেহতাব হোসেনের বাড়ির জানলা ভেঙে চড়াও হন ছয়জন ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে তাঁকে খুন করে । তাঁর স্ত্রীও আহত হন । বাড়ির দুই সন্তান পালিয়ে বাঁচে । পুলিশ খবর পেয়েই তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একে একে ছয়জনকে গ্রেফতার করে । ছয়জন গ্রেফতার হওয়ার পর দেখা যায়, খুনে অভিযুক্ত আফতাব আলম সম্পর্কে মেহতাবের ভাগ্নে । আফতাব ষড়যন্ত্র করে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে মামার বাড়িতে আসে । মামার বাড়িতে এসে টাকা-পয়সা নিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে সে । আফতাব বিহারের বাসিন্দা । আফতাব আলম কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকত । সেখান থেকেই তার পরিচিত বন্ধু ও বান্ধবীদের নিয়ে এসে মেহতাব হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল অভিযুক্তরা ৷

জলপাইগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর: মামাকে খুনের অভিযোগে ভাগ্নেকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিলেন বিচারক । টাকা-পয়সা হাতানোর জন্য বন্ধু-বান্ধবীদের ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে এসে মামাকে খুন করেছিল ভাগ্নে । ঘটনার পরের দিনই ধূপগুড়ি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই বান্ধবী-সহ চার বন্ধু ।

গত বছর 27 জুলাই ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ির সাকোয়াঝোড়ার আংরাভাষা এলাকায় । মামার বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে মামাকে খুন করে ভাগ্নে ৷ গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মেহতাব হোসেনকে । গুরুতর আহত হন মেহতাবের স্ত্রী মৌমিতা দাস (33)। খুনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগ্নে আফতাব হোসেনকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ৷ তার এক বছরের মধ্যেই সাজা ঘোষণা হল । সম্পত্তি হাতানোর জন্যই মামাকে খুন করে বৃষ্টির রাতে পালাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয় অভিযুক্তরা । তবে এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশের তৎপরতায় অপরাধীরা পালাতে পারেনি ৷

জলপাইগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামাকে খুনের ঘটনাটি ঘটে 27/7/23 তারিখে ৷ মামার বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে মামাকে খুন করার পাশাপাশি মামিকেও খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত আফতাব আলম । 28/7/23 তারিখে ধূপগুড়ি থানায় মামলা রুজু করা হয় । ঘটনার পর তদন্তকারী অফিসার চার্জশিট দেন 9/10/23 তারিখে । ধৃতদের বিরুদ্ধে 397/396/398 ধারায় মামলা করা হয় ৷ মৃতের দুই নাবালক ছেলে, স্ত্রী-সহ 17 জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় । বিচারক রিন্টু সুর আজ আফতাব আলমকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন । পাশাপাশি মৃতের নাবালক দুই পুত্রকে 3 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । অন্যদিকে, তদন্তকারী অফিসার বিনয় যাদবকে ভালো তদন্ত করার জন্য সম্মানিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।

এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মৃতের স্ত্রী মৌমিতা দাস জানান, "ঘটনার দিন আমাকে খুনের চেষ্টা করেছিল । আমার স্বামীকে খুন করে । ছয়জন মিলে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল । আজ আফতাবের ফাঁসির সাজা হওয়ায় আমি খুব খুশি ।"

ঘটনার দিন পেশায় বিমা এজেন্ট আংরাভাষার বাসিন্দা মেহতাব হোসেনের বাড়ির জানলা ভেঙে চড়াও হন ছয়জন ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে তাঁকে খুন করে । তাঁর স্ত্রীও আহত হন । বাড়ির দুই সন্তান পালিয়ে বাঁচে । পুলিশ খবর পেয়েই তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একে একে ছয়জনকে গ্রেফতার করে । ছয়জন গ্রেফতার হওয়ার পর দেখা যায়, খুনে অভিযুক্ত আফতাব আলম সম্পর্কে মেহতাবের ভাগ্নে । আফতাব ষড়যন্ত্র করে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে মামার বাড়িতে আসে । মামার বাড়িতে এসে টাকা-পয়সা নিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে সে । আফতাব বিহারের বাসিন্দা । আফতাব আলম কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকত । সেখান থেকেই তার পরিচিত বন্ধু ও বান্ধবীদের নিয়ে এসে মেহতাব হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল অভিযুক্তরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.