জলপাইগুড়ি, 16 মে: চলতি মাসের 8 তারিখ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ৷ তার পর শুক্রবার তিনি আবার এলেন । এবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের নিয়ে সার্কিট বেঞ্চে প্রবেশের সার্ভিস রোডের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ।
জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়িগামী 27 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাহাড়পুরে তৈরি হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৷ সেখানে প্রবেশের জন্য অ্যাপ্রোচ রোড প্রয়োজন । কারণ, জাতীয় সড়কের রাস্তা দিয়ে সার্কিট বেঞ্চে প্রবেশ ও বের হওয়া যথেষ্টই কঠিন হবে ।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দ্রুত গতিতে এই অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ শুরু করে ৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ 15 জুনের মধ্যে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করে দেবে জানায় ৷ কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ করা যাচ্ছে না । সেই বিষয়টিই এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ৷ তাছাড়া তিনি হাইকোর্টের আবাসন-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন ।
এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিচার বিভাগের আধিকারিক-সহ পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ৷
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘এটা আমার দ্বিতীয় পরিদর্শন । এর আগে আমি 8 মে এসেছিলাম । পরিদর্শন করে দেখলাম খুব দ্রুতগতিতে কাজ চলছে । আজকে আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি । তারা নর্দমা ও সার্ভিস রোড তৈরি করছে । তারা জুন মাসের 15 তারিখের মধ্যে করে দেবে বলে জানিয়েছে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রিজিওনাল ডাইরেক্টর, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এসেছিলেন । স্থায়ী বেঞ্চের উদ্বোধন খুব তাড়াতাড়ি হবে । আমরা উদ্বোধনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের কাছ থেকে তারিখ নেব ৷ সেটা পাইপলাইনে আছে । উদ্বোধন হবে বলেই এসব কাজ তাড়াতাড়ি করা হচ্ছে । বর্ষাকাল হওয়ার কারণে কাজের সমস্যা হচ্ছে । রাজ্য সরকার, জেলা পুলিশ-প্রশাসন সবাই সহযোগিতা করছে । জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ 8 দিনের মধ্যে খুব ভালো কাজ করেছে ।’’

উল্লেখ্য, গত 8 মে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর জমি হস্তান্তর করা হয় । কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের হাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন স্থায়ী পরিকাঠামোর ভবন ও জমির ডিড হস্তান্তর করেছিলেন ।
জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়িগামী 27 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাহাড়পুরে প্রায় 53 একর জমিতে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর কাজ চলছে । স্থায়ী ভবনে 13টি কোর্ট রুম থাকবে । হাইকোর্টের পাশেই প্রধান বিচারপতি-সহ সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতিদের আবাসন হবে । পাশাপাশি পুলিশ ফাঁড়ি, হাইকোর্টের কর্মীদের আবাসন-সহ সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে ।
এই ভবনের উদ্বোধন হলে সেখানেই উত্তরবঙ্গের আট জেলার মামলাগুলির শুনানি হবে ৷ এখন অস্থায়ী ভবনে চলছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৷ সেখানেই বিভিন্ন মামলার শুনানি হয় ৷