কলকাতা, 9 এপ্রিল: ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে লাঠি চার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ এক চাকরিহারা শিক্ষককে লাথিও মেরছে পুলিশ ৷ বুধবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) ৷
জুটার সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "আজ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যোগ্য শিক্ষকরা চাকরি হারিয়েছেন ৷ তাঁদের হকের চাকরির দাবি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ কসবার ডিআই অফিসে পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে ৷ লাথিও মেরেছে ৷ আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি ৷ এই যোগ্য শিক্ষকদের লড়াই আন্দোলনে পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি ৷ দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবিও জানাচ্ছি ৷"
শিক্ষক সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "কসবা থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছেন যোগ্য শিক্ষকরা ৷ কারণ, তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন ৷" এ জন্য তিনি রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড়ি করিয়েছেন ৷ তাঁর কথায়, "এর একটাই কারণ, সরকারের মদতে অপরাধ বা অব্যবস্থা হয়েছে ৷ তার বলি হয়েছেন এই শিক্ষকরা ৷"
সভাপতি আরও মনে করেন, এই সমস্ত শিক্ষকরা সরকার পোষিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ধরে রাখার লড়াই লড়ছিলেন ৷ পরের প্রজন্মের পড়ুয়া তৈরি করতে চেয়েছিলেন ৷ আর তাই এই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের স্বার্থের সঙ্গে তাঁদের স্বার্থ জড়িয়ে গিয়েছে ৷ কারণ, তাঁরাও সরকার পোষিত শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের লড়াই লড়ছেন ৷ এদিকে, বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, "কসবা ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ অবাঞ্ছিত ৷" আর তাঁর পাশে বসেই চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারা ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করে নিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ৷