ETV Bharat / state

হড়পা বান ঠেকাতে ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি, বিধানসভায় প্রস্তাব - Flash Flood in Indo Bhutan Border

River Commission: হড়পা বানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ভারতের ভিটেমাটি। ভুটানে কত বৃষ্টি হচ্ছে তা সঠিক সময়ে যেমন জানা যায় না। পাশাপাশি ভুটানে রেইনগেজ মিটার পর্যাপ্ত নেই। হড়পা বানের আগাম সতর্কতা না-থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের উদ্ধার করতে বা সরিয়ে নিতে হিমশিম খায় পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। যার দরুন রাজ্য বিধানসভায় ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি উঠল ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 26, 2024, 7:00 PM IST

River Commission
ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি (ইটিভি ভারত)

জলপাইগুড়ি, 26 জুলাই: ফি বছর ভুটানের হড়পা বানে ভেসে যায় ভারতের বেশ কিছু অংশ ৷ পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ক্ষতি হয় ভারতের উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার ৷ এই হড়পা বানে তলিয়ে গিয়ে জীবনহানির মতো ঘটনাও ঘটে ৷ এবার সেই হড়পা বান ঠেকাতে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের দাবি উঠল বিধানসভায় ৷

ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি (ইটিভি ভারত)

ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারতের কোন কোন জায়গা ?

প্রতি বছরই ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারত ৷ ভুটান থেকে বৃষ্টির আগাম সতর্কবার্তা ভারতকে দিতে না-পারার দরুন পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে প্রায়শই ভেসে যায় ভুটান সংলগ্ন ভারতের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ভুটান থেকে নেমে আসা আলিপুরদুয়ার জেলার বাসরা, কালজানি, সংকোশ, বিরবিটি, হাউরি, রেতি, সুকৃতি-সহ জলপাইগুড়ি জেলার জলঢাকা, ডায়না, বানারহাট, নাগরাকাটা, বিন্নাগুড়ি, চামুর্চি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার জঁয়গা, কালচিনি, বীরপাড়া, মাদারিহাট ব্লকের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয় ৷

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা পিএসির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমি বলার চেষ্টা করছি বর্ষাকালে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর তাণ্ডবে ভয়াবহভাবে ভাঙনের কবলে পড়ে ৷ সংরক্ষিত জঙ্গল, কৃষিজমি জাতীয় উদ্যানে জলের তোড়ে বিপাকে পড়ে ৷ বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ এই বিষয়টি আমি বিধানসভা তুলে ধরেছি ৷ যেহেতু এটা দুই দেশের আন্তর্জাতিক বিষয় ৷ এই ভুটানের নদীর নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সম্ভব ৷ কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ খুব জরুরি ৷ কেন্দ্রের পদক্ষেপ করা দরকার ৷ আগামী 29 তারিখ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে আলোচনা করবেন ৷ এই ইস্যুটি এই প্রথম সরকারিভাবে বিধানসভায় উঠল আজ ৷"

River Commission
প্রতি বছরই ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারত (ইটিভি ভারত)

সেচ দফতরের নর্থ-ইস্ট বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিকের কথায়, "ভুটান থেকে নেমে আসা সব নদীগুলিতে রেইনগেজ মিটার নেই ৷ সম্প্রতি ইন্দো-ভুটানের বৈঠকে আমি বলে এসেছি সমস্যার কথা ৷ বলা হয়েছে, রেইনগেজ বাড়ানোর জন্য ৷ আন্তর্জাতিক বিষয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়টি দেখছে ৷"

  • উল্লেখ্য, বর্তমানে সেচ দফতরের নর্থ-ইস্ট বিভাগ 70টি রেইনগেজ স্টেশন থেকে বৃষ্টিপাতের তথ্য পাওয়া যায়। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের 28টি, IMD-র 30টি ও সেচ দফতরের 12টি বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র থেকে তথ্য পায় সেচ দফতর। ভুটান থেকে কেবলমাত্র 4টি রেইনগেজ স্টেশন থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ জানা যায়। তাও আবার 3 ঘণ্টা পর পর। জলঢাকা নদীর উপরে ভুটানের রেইনগেজ স্টেশন হল টেন্ড্রু, তোর্সা নদীর উপর ভুটানের দ্রোখা রেইনগেজ স্টেশন। সংকোশ নদীর ওপরে ওয়াংদি ফুদরং রেইনগেজ স্টেশন ও রায়ডাক নদীর ওপর চুখা রেইনগেজ স্টেশন ৷

2022 সালে রয়্যাল গভর্নমেন্ট অফ ভুটান ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা নিয়ে বর্ডার কো-অর্ডিনেশন মিটিং হয় ৷ সেই মিটিংয়ে ভুটানের হড়পা বানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় ৷ ভুটানের সঙ্গে কথা বলে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় রেইনগেজ সিস্টেম বসানোর বিষয়ে আলোচনা হয় ৷ যাতে বৃষ্টির আগাম সতর্কতা পাওয়া যায় ৷ কারণ হঠাৎ করে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে এবং তখন প্রশাসনের দুর্গতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজটা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে ভুটানের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলে আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা নেওয়ার।

জলপাইগুড়ি, 26 জুলাই: ফি বছর ভুটানের হড়পা বানে ভেসে যায় ভারতের বেশ কিছু অংশ ৷ পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ক্ষতি হয় ভারতের উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার ৷ এই হড়পা বানে তলিয়ে গিয়ে জীবনহানির মতো ঘটনাও ঘটে ৷ এবার সেই হড়পা বান ঠেকাতে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের দাবি উঠল বিধানসভায় ৷

ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি (ইটিভি ভারত)

ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারতের কোন কোন জায়গা ?

প্রতি বছরই ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারত ৷ ভুটান থেকে বৃষ্টির আগাম সতর্কবার্তা ভারতকে দিতে না-পারার দরুন পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে প্রায়শই ভেসে যায় ভুটান সংলগ্ন ভারতের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ভুটান থেকে নেমে আসা আলিপুরদুয়ার জেলার বাসরা, কালজানি, সংকোশ, বিরবিটি, হাউরি, রেতি, সুকৃতি-সহ জলপাইগুড়ি জেলার জলঢাকা, ডায়না, বানারহাট, নাগরাকাটা, বিন্নাগুড়ি, চামুর্চি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার জঁয়গা, কালচিনি, বীরপাড়া, মাদারিহাট ব্লকের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয় ৷

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা পিএসির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমি বলার চেষ্টা করছি বর্ষাকালে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর তাণ্ডবে ভয়াবহভাবে ভাঙনের কবলে পড়ে ৷ সংরক্ষিত জঙ্গল, কৃষিজমি জাতীয় উদ্যানে জলের তোড়ে বিপাকে পড়ে ৷ বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ এই বিষয়টি আমি বিধানসভা তুলে ধরেছি ৷ যেহেতু এটা দুই দেশের আন্তর্জাতিক বিষয় ৷ এই ভুটানের নদীর নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সম্ভব ৷ কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ খুব জরুরি ৷ কেন্দ্রের পদক্ষেপ করা দরকার ৷ আগামী 29 তারিখ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে আলোচনা করবেন ৷ এই ইস্যুটি এই প্রথম সরকারিভাবে বিধানসভায় উঠল আজ ৷"

River Commission
প্রতি বছরই ভুটানের জলে প্লাবিত হয় ভারত (ইটিভি ভারত)

সেচ দফতরের নর্থ-ইস্ট বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিকের কথায়, "ভুটান থেকে নেমে আসা সব নদীগুলিতে রেইনগেজ মিটার নেই ৷ সম্প্রতি ইন্দো-ভুটানের বৈঠকে আমি বলে এসেছি সমস্যার কথা ৷ বলা হয়েছে, রেইনগেজ বাড়ানোর জন্য ৷ আন্তর্জাতিক বিষয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়টি দেখছে ৷"

  • উল্লেখ্য, বর্তমানে সেচ দফতরের নর্থ-ইস্ট বিভাগ 70টি রেইনগেজ স্টেশন থেকে বৃষ্টিপাতের তথ্য পাওয়া যায়। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের 28টি, IMD-র 30টি ও সেচ দফতরের 12টি বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র থেকে তথ্য পায় সেচ দফতর। ভুটান থেকে কেবলমাত্র 4টি রেইনগেজ স্টেশন থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ জানা যায়। তাও আবার 3 ঘণ্টা পর পর। জলঢাকা নদীর উপরে ভুটানের রেইনগেজ স্টেশন হল টেন্ড্রু, তোর্সা নদীর উপর ভুটানের দ্রোখা রেইনগেজ স্টেশন। সংকোশ নদীর ওপরে ওয়াংদি ফুদরং রেইনগেজ স্টেশন ও রায়ডাক নদীর ওপর চুখা রেইনগেজ স্টেশন ৷

2022 সালে রয়্যাল গভর্নমেন্ট অফ ভুটান ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা নিয়ে বর্ডার কো-অর্ডিনেশন মিটিং হয় ৷ সেই মিটিংয়ে ভুটানের হড়পা বানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় ৷ ভুটানের সঙ্গে কথা বলে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় রেইনগেজ সিস্টেম বসানোর বিষয়ে আলোচনা হয় ৷ যাতে বৃষ্টির আগাম সতর্কতা পাওয়া যায় ৷ কারণ হঠাৎ করে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে এবং তখন প্রশাসনের দুর্গতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজটা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে ভুটানের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলে আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা নেওয়ার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.