কোচবিহার, 21 মে: সীমান্তে বিএসএফ ও গরু পাচারকারীদের গুলির লড়াইয়ে আহত এক যুবক । ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার দিনহাটার গিতালদহে ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গরু পাচারকারীকে বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তাঁর নাম সূর্যজিত বর্মন । বাড়ি গিতালদহের দক্ষিণ খারিজা গ্রামে ।
বিএসএফের দাবি, সোমবার রাতে গিতালদহ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার চলছিল । সেই পাচার চলাকালীন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানেরা চোরাকারবারীদের থামতে বলেন ৷ তখন তারা বিএসএফের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ । পালটা গুলি চালায় বিএসএফও । ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন সূর্যজিত বর্মন । এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকেই তাঁকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।
কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় 400 কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে । দীর্ঘ এই সীমান্তের অধিকাংশ এলাকাতে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও নদী ও সীমানাগাত সমস্যার কারণে কিছু কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি । আর সেইসব এলাকা দিয়ে পাচারকারীরা মাঝেমধ্যে গরু ও কাশির সিরাপ-সহ বিভিন্ন জিনিস বাংলাদেশে পাচার করে থাকে । মাঝেমধ্যে এ নিয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফের ঝামেলাও হয় ।
এই ঝামেলার জেরে বছর দেড়েক আগে গিতালদহ সীমান্তে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু হয়। বিএসএফের দাবি, ওই যুবক গরু পাচারকারী । অপরদিকে তাঁর পরিবার-সহ তৃণমূলের দাবি ছিল, ওই যুবক পাচারকারী নন । এই ঘটনার পর বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর এদিন গিতালদহে ফের গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
যদিও বিএসএফের দাবি, বাকি পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও মানবিকতার কারণে জখম সূর্যজিত বর্মনকে চিকিৎসার জন্য তুলে আনা হয়েছে । বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, সীমান্তে পাচার চলছিল । কর্তব্যরত জওয়ানরা থামতে বললেও তাঁদের উপর পাচারকারীরা হামলা চালায় । এরপর নিজেদের আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ পালটা গুলি চালালে একজন জখম হন । তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: