ETV Bharat / state

লাগাতার বৃষ্টির সঙ্গে সমস্যা বাড়াচ্ছে ডিভিসির ছাড়া জল, প্লাবনের আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ নবান্ন - Nabanna angry to DVC

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 3, 2024, 10:51 PM IST

Nabanna angry to DVC: লাগাতার বৃষ্টির সঙ্গেই জুড়ছে ডিভিসি'র জল ছাড়া ৷ এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ কড়া বার্তা ডিভিসিকেও ৷

ALAPAN BANDYOPADHYAY
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 3 অগস্ট: লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। এমনিতেই এই লাগাতার বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে নদীগুলির জলস্তর অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত এসে জুড়েছে ডিবিসি'র ছাড়া অতিরিক্ত জল। যার জেরে বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷ তবে এই অবস্থায় আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছে নবান্ন ৷ এক তরফা এই জল ছাড়ায় রাজ্যের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ডিভিসিকে ৷

শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, তবে সতর্কিত থাকতে হবে। আগামী পাঁচ এবং ছয় তারিখ সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন। প্রশাসন পরিস্থিতি বুঝে মানুষকে অনুরোধ করবে। প্রয়োজন পড়লে মানুষকে নিজের বাসস্থান থেকে সরে আসতে হবে।"

এদিন লাগাতার বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে তিনি বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরও নিয়েছেন। সেখানেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা শোনা গিয়েছে মুখ্যসচিবের গলায় ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়তে হবে ডিভিসিকে। এদিন এমনটাই ডিবিসি'র চেয়ারম্যানকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা।

এদিন রাজ্যের দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত এদিনই সকাল 11টার পর থেকে ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এদিন এই বৈঠকেই ডিভিসির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কোনওভাবেই জল ছাড়া যাবে না ৷

এক্ষেত্রে সেচ দফতরকে জানিয়ে জল ছাড়তে হবে ডিবিসিকে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা তৈরি পরিস্থিতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার খবর আসছে। তার উপর আবারও এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কথা বলছে ডিভিসি। এই অবস্থায় রাজ্যে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার।

এদিন বৈঠক শেষে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "লাগাতার বৃষ্টির ফলে কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক দিন সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।"

আলাপনের কথায়, "দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম এই জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রচুর জল ছেড়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 24 ঘন্টা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্যের শীর্ষ- প্রশাসন প্রতিনিয়ত রাজ্যের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।"

অন্য়দিকে, ডিভিসি জানিয়েছে, আরও এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হবে ৷ যেটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোর বিপজ্জনক বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। আগে যে জল ছাড়া হচ্ছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলেও অভিযোগ। তবে আগামীতে জল ছাড়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে জল ছাড়া কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

কলকাতা, 3 অগস্ট: লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। এমনিতেই এই লাগাতার বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে নদীগুলির জলস্তর অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত এসে জুড়েছে ডিবিসি'র ছাড়া অতিরিক্ত জল। যার জেরে বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷ তবে এই অবস্থায় আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছে নবান্ন ৷ এক তরফা এই জল ছাড়ায় রাজ্যের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ডিভিসিকে ৷

শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, তবে সতর্কিত থাকতে হবে। আগামী পাঁচ এবং ছয় তারিখ সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন। প্রশাসন পরিস্থিতি বুঝে মানুষকে অনুরোধ করবে। প্রয়োজন পড়লে মানুষকে নিজের বাসস্থান থেকে সরে আসতে হবে।"

এদিন লাগাতার বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে তিনি বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরও নিয়েছেন। সেখানেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা শোনা গিয়েছে মুখ্যসচিবের গলায় ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়তে হবে ডিভিসিকে। এদিন এমনটাই ডিবিসি'র চেয়ারম্যানকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা।

এদিন রাজ্যের দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত এদিনই সকাল 11টার পর থেকে ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এদিন এই বৈঠকেই ডিভিসির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কোনওভাবেই জল ছাড়া যাবে না ৷

এক্ষেত্রে সেচ দফতরকে জানিয়ে জল ছাড়তে হবে ডিবিসিকে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা তৈরি পরিস্থিতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার খবর আসছে। তার উপর আবারও এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কথা বলছে ডিভিসি। এই অবস্থায় রাজ্যে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার।

এদিন বৈঠক শেষে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "লাগাতার বৃষ্টির ফলে কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক দিন সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।"

আলাপনের কথায়, "দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম এই জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রচুর জল ছেড়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 24 ঘন্টা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্যের শীর্ষ- প্রশাসন প্রতিনিয়ত রাজ্যের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।"

অন্য়দিকে, ডিভিসি জানিয়েছে, আরও এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হবে ৷ যেটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঘোর বিপজ্জনক বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। আগে যে জল ছাড়া হচ্ছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলেও অভিযোগ। তবে আগামীতে জল ছাড়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে জল ছাড়া কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.