কলকাতা, 6 জুন: মৌসুমী অক্ষরেখা ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার গরম হওয়ার প্রভাব বাড়ছে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্বের কয়েকটি রাজ্যে। তার ফলে মৌসুমী অক্ষরেখা দুর্বল হচ্ছে এবং তার অগ্রগতিও থমকে রয়েছে। আর তাই নির্ধারিত সময়ের সপ্তাখানেক আগে দেশে প্রবেশ করলেও বাংলায় এখন বর্ষা অধরা ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, "নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে না বর্ষা। সাধারণত 10 জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে 12 জুন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে না। বরং বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম চলতি সপ্তাহে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়বে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া বেশ কয়েকটি জেলায় প্রভাব বিস্তার করবে। আগামী 3-4 দিনে অন্তত 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে।"
দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শুষ্ক আবহাওয়া সঙ্গে গরম ও অস্বস্তি থাকবে। আগামিকাল, শনিবার থেকে শুষ্ক ও গরম হাওয়া বেশি থাকবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমে। পাশাপাশি এদিন থেকেই উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি কমবে ও তাপমাত্রা বাড়বে।
দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। সবমিলিয়ে বৃষ্টিস্নাত দিনে গরম থমকে যাওয়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবাসী দেখছিল তা বড় রকমের ধাক্কা খেতে চলেছে। অন্তত আগামী এক সপ্তাহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি কিংবা শুষ্ক আবহাওয়াই বরাদ্দ হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 33.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.6 ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 27.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.2 ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 92 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 35 শতাংশ। শুক্রবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 35 ডিগ্রি এবং 26 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।