কলকাতা, 14 এপ্রিল: বিমানবন্দর থেকে নিউটাউনগামী বিশ্ব বাংলা সরণি বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ততম করিডর ৷ স্মার্ট সিটি নিউটাউনের বিস্তার, সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি হাব এবং কলকাতা শহরে প্রবেশের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু, প্রতিদিনের যানবাহনের চাপ এবং পথচারীদের ভিড়ে এই রাস্তায় যানজট ক্রমেই বাড়ছে ৷ সেই সমস্যার সমাধানে ছ’টি ভেহিকুলার আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা করছে হিডকো ৷
নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা সরণিতে যান চলাচলের গতি ব্যাহত হওয়া, প্রশাসনের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ ৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং ভবিষ্যতের জন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এই ছয়টি নতুন আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকো ৷ এর মধ্যে পাঁচটি ভেহিকুলার আন্ডারপাস তৈরির জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে ৷
হিডকো সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট ছয়টি স্থানে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাথমিক নকশা, মাটি পরীক্ষা ও ড্রেনেজ প্ল্যান তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়বে ৷ সেই মতো সবুজ সঙ্কেত মিললেই টেন্ডার অনুযায়ী শুরু হবে কাজ ৷
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাঁচটির মধ্যে একটি জায়গা সমান্তরালভাবে দু’টি আন্ডারপাস তৈরি করা হবে ৷ টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে এই দু’টি আন্ডারপাস হবে ৷ যেখানে একটি আন্ডারপাস হবে গাড়ি চলাচলের জন্য ৷ আরেকটি আন্ডারপাস দিয়ে পথচারীরা যাতায়াত করবেন ৷
আর সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য একটি সাবওয়ে তৈরি করা হবে ৷ অন্যদিকে, দ্য ওয়েস্ট ইন হোটেল, সেভেন রোটারি মোড়, নোয়াপাড়া অঞ্চল ও চিনারপার্কে তৈরি হবে বাকি চারটি ভেহিকুলার আন্ডারপাস ৷ বিমানবন্দরমুখী ও কলকাতার দিকের উভয় লেনেই থাকবে এই সুবিধা ৷
এ নিয়ে হিডকোর এক আধিকারিক বলেন, “বিশ্ব বাংলা সরণি নিউটাউনের জীবনরেখা ৷ গত কয়েক বছরে এই করিডরে গাড়ির সংখ্যা বহু গুণ বেড়েছে ৷ কিন্তু, বর্তমান পরিকাঠামো দিয়ে সেই চাপ সামলানো কঠিন ৷ পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি ভেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মিত হলে যানজট অনেকটাই কমবে ৷ সেই সঙ্গে পথচারীদের যাতায়াত আরও সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন হবে ৷”
পরিকল্পনাটি বিশেষজ্ঞদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে ৷ তাঁদের মতে, নিউটাউনের দ্রুত প্রসারমান জনবসতি ও বাণিজ্যিক পরিধির কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ সময়োপযোগী ৷ যান চলাচলের গতির সঙ্গে-সঙ্গে শহরের পরিকাঠামোকে টেকসই ও জনবান্ধব করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে হিডকো ৷