ETV Bharat / state

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে সদ্যোজাতের দেহ উধাও, তদন্তে কমিটি গঠন স্বাস্থ্য দফতরের

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতের দেহ উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন স্বাস্থ্য দফতরের ৷ সিসি ক্যামেরা কি পরিকল্পনা করে সেদিন বন্ধ ছিল ?

ETV BHARAT
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে সদ্যোজাতের দেহ উধাও (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 18, 2024, 8:03 PM IST

শিলিগুড়ি, 18 অক্টোবর: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতের দেহ উধাও হওয়ার ঘটনায় তিনজনের তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর । তবে দেহ উধাও হওয়ার সময় সিসি ক্যামেরা কেন বন্ধ ছিল, সেই উত্তরই এখন খুঁজছে তদন্তকারী দল ও পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে । আর এখন সেইসব সূত্র ধরেই কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে 4 নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালাপট্টির বাসিন্দা রিয়া গুপ্তা রাত পৌনে ন'টা নাগাদ মৃত শিশুটির জন্ম দেন । ওজন ছিল এক কেজি 300 গ্রাম । নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুটি মায়ের গর্ভে মারা যায় । সদ্যোজাতের দেহটি পরিবারের লোকদের দেখানোও হয় । এরপর সদ্যোজাতটিকে প্যাকেটবন্দি করা হয় । কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোর পাঁচটে নাগাদ উধাও হয়ে যায় শিশুটির দেহ ।

আর কাকতালীয়ভাবে ওইদিনই রাত আটটা থেকে প্রসূতি ওয়ার্ডের ক্যামেরা-সহ হাসপাতালের অন্য কিছু ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট 15 থেকে 16টি সিসি ক্যামেরা আচমকা বন্ধ হয়ে যায় । প্রায় 16 ঘণ্টা বাদে, অর্থাৎ পরের দিন বেলা 12টা নাগাদ আবার সেই ক্যামেরা চালু করা হয় । ওই বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যামেরাগুলোর সুইচ প্রসূতি ওয়ার্ডের থেকে দূরে অন্য একটি ওয়ার্ডে রয়েছে ।

এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তাহলে ঘটনার দিন ওই ক্যামেরাগুলোর সুইচ কে বা কারা বন্ধ করল ? তাহলে কি ওই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটনো হয়েছে ? নাকি নিছক গাফিলতি ? আরজি কর কাণ্ডের পর কি পরিকল্পনা করে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতরকে বিপদে ফেলতে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে ? এখন এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে জোর তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর । পাশাপাশি এদিন ওই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফআই ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর শুক্রবার হাসপাতালের দুই প্রধান চিকিৎসক ও একজন নার্স মিলিয়ে তিনজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তিনদিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে ওই ঘটনার সময় কর্তব্যে থাকা চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তারক্ষী, সাফাই কর্মী-সহ 10 জনকে ওই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে ।

এছাড়াও শুক্রবার মৃত সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্য, পুরনিগমের বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ আলম ও পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন । সোমবারের মধ্যে ওই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হাসপাতালে মোট সাতটি শিশুর জন্ম হয় । যার মধ্যে একটি মৃত শিশু প্রসব হয়েছিল, যা পরে উধাও হয়ে যায় ।

ওই বিষয়ে বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ আলম বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হল । তবে গাফলতি অবশ্যই রয়েছে । আমাদের ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে দেহ উদ্ধার করে দেবেন ।" হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, "ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত কমিটি সমস্তটা খতিয়ে দেখবে ।"

শিলিগুড়ি, 18 অক্টোবর: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতের দেহ উধাও হওয়ার ঘটনায় তিনজনের তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর । তবে দেহ উধাও হওয়ার সময় সিসি ক্যামেরা কেন বন্ধ ছিল, সেই উত্তরই এখন খুঁজছে তদন্তকারী দল ও পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে । আর এখন সেইসব সূত্র ধরেই কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে 4 নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালাপট্টির বাসিন্দা রিয়া গুপ্তা রাত পৌনে ন'টা নাগাদ মৃত শিশুটির জন্ম দেন । ওজন ছিল এক কেজি 300 গ্রাম । নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুটি মায়ের গর্ভে মারা যায় । সদ্যোজাতের দেহটি পরিবারের লোকদের দেখানোও হয় । এরপর সদ্যোজাতটিকে প্যাকেটবন্দি করা হয় । কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোর পাঁচটে নাগাদ উধাও হয়ে যায় শিশুটির দেহ ।

আর কাকতালীয়ভাবে ওইদিনই রাত আটটা থেকে প্রসূতি ওয়ার্ডের ক্যামেরা-সহ হাসপাতালের অন্য কিছু ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট 15 থেকে 16টি সিসি ক্যামেরা আচমকা বন্ধ হয়ে যায় । প্রায় 16 ঘণ্টা বাদে, অর্থাৎ পরের দিন বেলা 12টা নাগাদ আবার সেই ক্যামেরা চালু করা হয় । ওই বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যামেরাগুলোর সুইচ প্রসূতি ওয়ার্ডের থেকে দূরে অন্য একটি ওয়ার্ডে রয়েছে ।

এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তাহলে ঘটনার দিন ওই ক্যামেরাগুলোর সুইচ কে বা কারা বন্ধ করল ? তাহলে কি ওই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটনো হয়েছে ? নাকি নিছক গাফিলতি ? আরজি কর কাণ্ডের পর কি পরিকল্পনা করে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতরকে বিপদে ফেলতে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে ? এখন এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে জোর তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর । পাশাপাশি এদিন ওই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিওয়াইএফআই ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর শুক্রবার হাসপাতালের দুই প্রধান চিকিৎসক ও একজন নার্স মিলিয়ে তিনজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তিনদিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে ওই ঘটনার সময় কর্তব্যে থাকা চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তারক্ষী, সাফাই কর্মী-সহ 10 জনকে ওই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে ।

এছাড়াও শুক্রবার মৃত সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্য, পুরনিগমের বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ আলম ও পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন । সোমবারের মধ্যে ওই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হাসপাতালে মোট সাতটি শিশুর জন্ম হয় । যার মধ্যে একটি মৃত শিশু প্রসব হয়েছিল, যা পরে উধাও হয়ে যায় ।

ওই বিষয়ে বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ আলম বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হল । তবে গাফলতি অবশ্যই রয়েছে । আমাদের ওঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে দেহ উদ্ধার করে দেবেন ।" হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, "ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত কমিটি সমস্তটা খতিয়ে দেখবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.