ETV Bharat / state

'আমার ছেলে দোষী নয়', দাবি কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল দুর্ঘটনার সহকারি লোকো পাইলটের মায়ের - Kanchanjungha Express Accident

Siliguri Rail Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল দুর্ঘটনার বরাত জোড়ে বেঁচে গিয়েছেন মালবাহী ট্রেনের সহকারী লোকো পাইলট মনু কুুমার ৷ বর্তামানে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে কড়া নজরদারির মধ্যে চিকিৎসাধীন তিনি ৷ দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না কারও সঙ্গে ৷ পরিবারের দাবি, এখনও দোষী প্রমাণিত হননি মনু ৷ তা সত্ত্বেও কেন দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর সঙ্গে প্রশ্ন পরিবারের ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 21, 2024, 7:40 AM IST

Kanchenjunga Express Accident
সহকারি লোকো পাইলট মনু কুমারের মা (ইটিভি ভারত)

শিলিগুড়ি, 21 জুন: "আমার ছেলে দোষী নয় ৷ আগে অভিযোগ প্রমাণ হোক ।" এমনই দু-একটা কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনু কুমারের মা । সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন থেকে যে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে, মনু কুমার সেই ট্রেনেরই সহকারি চালক ৷ সেদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট অনিল কুমারের ৷ বরাত জোড়ে বেঁচে গিয়েছেন মনু কুমার ৷ বর্তমানে শিলিগুড়ির এখটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তিনি ৷ রয়েছেন আইসিইউতে । সেখানে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে ৷ প্রায় আট বছর হয়েছে রেলে কর্মরত মনু কুমার । বিহারের সহরসা গ্রামের বাসিন্দা তিনি । কাজের সূত্রে শিলিগুড়ির 34 নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগর এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন । সব ভালোই চলছিল । কিন্তু অভিশপ্ত সেই সোমবারের পর কেমন যেন সব বদলে গিয়েছে ওই পরিবারের ।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ । চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ নিজে তদন্ত করছেন । আর তদন্ত হবেই না বা কেন? মৃত্যু হয়েছে 10 জনের, আহত প্রায় 40 জনের বেশি । ঘটনার তিন দিন কেটে গিয়েছে । এখনও দুর্ঘটনার কারণ সেভাবে জেনে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা । কর্মীদের বয়ান, প্রমাণ, তথ্য সংগ্রহ করলেও ঠিক কোন জায়গায় গাফিলতি হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত করে উঠতে পারেননি তাঁরা ৷ এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মনু কুমার । এখন একমাত্র তিনি ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খোলসা করে বলতে পারবেন ৷

রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কোনও ভুল করেননি, তা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার । ঘটনার পর থেকেই নার্সিংহোমে নজরবন্দি রাখা হয়েছে মনু কুমারকে । রেল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর এখনও স্থিতিশীল হননি তিনি ৷ এদিকে ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে বিহার থেকে ছুটে এসেছেন তাঁর বাবা ও মা । মঙ্গলবার থেকে টানা দু'বেলা ছেলের সঙ্গে একটি বার দেখা করার জন্য কাতরাচ্ছেন তাঁরা । কিন্তু মনু কুমারের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না ।

এই আবহে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব । কিন্তু তাঁকেও দেখা না করে ফিরে আসতে হয় । জিআরপি ও রেলের আধিকারিকরাও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরাও চিকিৎসকের থেকে মনুর শারীরিক পরিস্থিতি জেনে ফিরে আসেন । বয়ান না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে ।

এদিকে মনু কুমারের পরিবারের চোখেমুখে আতঙ্ক ও উদ্বিগ্নের ছায়া ৷ ছেলে কেমন আছে, তাঁরা জানতে পারছেন না । আর তাতেই আতঙ্ক যেন আরও গ্রাস করেছে তাঁদের । মনু কুমারের মা বলেন, "কীভাবে আমার ছেলে বেঁচে গিয়েছে জানি না । ভগবানের অসীম কৃপা । আমার ছেলে নির্দোষ । আমার একটাই ছেলে । আমার ছেলে দোষী নয় । আগে অভিযোগ প্রমাণ হতে দিন । আমি দেখা কর‍তে আসি । কিন্তু দেখা করতে দেওয়া হয় না ।"

শিলিগুড়ি, 21 জুন: "আমার ছেলে দোষী নয় ৷ আগে অভিযোগ প্রমাণ হোক ।" এমনই দু-একটা কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনু কুমারের মা । সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন থেকে যে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে, মনু কুমার সেই ট্রেনেরই সহকারি চালক ৷ সেদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট অনিল কুমারের ৷ বরাত জোড়ে বেঁচে গিয়েছেন মনু কুমার ৷ বর্তমানে শিলিগুড়ির এখটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তিনি ৷ রয়েছেন আইসিইউতে । সেখানে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে ৷ প্রায় আট বছর হয়েছে রেলে কর্মরত মনু কুমার । বিহারের সহরসা গ্রামের বাসিন্দা তিনি । কাজের সূত্রে শিলিগুড়ির 34 নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগর এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন । সব ভালোই চলছিল । কিন্তু অভিশপ্ত সেই সোমবারের পর কেমন যেন সব বদলে গিয়েছে ওই পরিবারের ।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ । চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ নিজে তদন্ত করছেন । আর তদন্ত হবেই না বা কেন? মৃত্যু হয়েছে 10 জনের, আহত প্রায় 40 জনের বেশি । ঘটনার তিন দিন কেটে গিয়েছে । এখনও দুর্ঘটনার কারণ সেভাবে জেনে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা । কর্মীদের বয়ান, প্রমাণ, তথ্য সংগ্রহ করলেও ঠিক কোন জায়গায় গাফিলতি হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত করে উঠতে পারেননি তাঁরা ৷ এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মনু কুমার । এখন একমাত্র তিনি ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খোলসা করে বলতে পারবেন ৷

রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কোনও ভুল করেননি, তা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার । ঘটনার পর থেকেই নার্সিংহোমে নজরবন্দি রাখা হয়েছে মনু কুমারকে । রেল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর এখনও স্থিতিশীল হননি তিনি ৷ এদিকে ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে বিহার থেকে ছুটে এসেছেন তাঁর বাবা ও মা । মঙ্গলবার থেকে টানা দু'বেলা ছেলের সঙ্গে একটি বার দেখা করার জন্য কাতরাচ্ছেন তাঁরা । কিন্তু মনু কুমারের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না ।

এই আবহে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব । কিন্তু তাঁকেও দেখা না করে ফিরে আসতে হয় । জিআরপি ও রেলের আধিকারিকরাও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরাও চিকিৎসকের থেকে মনুর শারীরিক পরিস্থিতি জেনে ফিরে আসেন । বয়ান না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে ।

এদিকে মনু কুমারের পরিবারের চোখেমুখে আতঙ্ক ও উদ্বিগ্নের ছায়া ৷ ছেলে কেমন আছে, তাঁরা জানতে পারছেন না । আর তাতেই আতঙ্ক যেন আরও গ্রাস করেছে তাঁদের । মনু কুমারের মা বলেন, "কীভাবে আমার ছেলে বেঁচে গিয়েছে জানি না । ভগবানের অসীম কৃপা । আমার ছেলে নির্দোষ । আমার একটাই ছেলে । আমার ছেলে দোষী নয় । আগে অভিযোগ প্রমাণ হতে দিন । আমি দেখা কর‍তে আসি । কিন্তু দেখা করতে দেওয়া হয় না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.