ঘাটাল, 31 মে: প্রাক বর্ষার আগে এক রাতের বৃষ্টিতেই জলমগ্ন ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । জল থইথই হাসপাতাল চত্বরে জলের মধ্যে দিয়েই রোগী নিয়ে স্ট্রেচারে করে যাতায়াত করছেন কর্মীরা ৷ জরুরি বিভাগ-সহ পুরো হাসপাতাল চত্বর ভরে গিয়েছে জলে ৷ সেই জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের । হাসপাতালের এহেন বেহাল অবস্থায় ক্ষুদ্ধ রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
এখনও রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেনি ৷ তার আগে একদিনের বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ল মেদিনীপুর জেলার অন্যতম সাব ডিভিশন ঘাটাল এলাকা । প্রতি বছর বর্ষায় ডুবে থাকে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা । সেই সময় মানুষকে নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হয় রাস্তা পারাপারের জন্য । কিন্তু এবার বর্ষা ঢোকার আগেই এহেন অবস্থা ঘাটাল হাসপাতালের ৷
ঘাটালের কুর্সি দখলের লড়াইয়ে দেব-হিরণ, ফুটবে কোন ফুল ?
বিষয়টি নিয়ে রোগী পরিজন অনুপমা মণ্ডল ও দেবব্রত মণ্ডলরা বলেন,"বাড়ির লোককে ভর্তি করেছি এই হাসপাতালে ৷ কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে নিজেদেরই ভয় লাগছে । নামেই সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেই । সামান্য বৃষ্টিতেই জল থইথই করছে এই হাসপাতাল চত্বরে ।"
যদিও হাসপাতালের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে ৷ যত দ্রুত সম্ভব জল সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে । তবে এর জন্য বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন অনেকে ।
প্রতিবছর বর্ষাকালে এমনই অবস্থা হয় ঘাটালের ৷ পাঁচবছর আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ সাংসদ দীপক অধিকারী এ বছরও ভোটে লড়তে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ তবে তাঁর বক্তব্য, আগেরবার কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করা যায়নি ৷ এবার রাজ্য সরকারের টাকায় তা বাস্তবায়িত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বুঝিনি, আমাকে ভুল করে আপনারা জিতিয়ে দিয়েছেন', বিস্ফোরক দেব