ETV Bharat / state

সামশেরগঞ্জে অশান্তি নির্বাচনী অঙ্ক ! পুলিশের এক শীর্ষকর্তার দিকে আঙুল অধীরের - ADHIR ON MURSHIDABAD VIOLENCE

সামশেরগঞ্জে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে রয়েছে বিরোধীদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলা, দাবি কংগ্রেস নেতা অধীরের ৷ এছাড়া পুলিশের শীর্ষ কর্তার মানসিকতাকেও দায়ী করেছেন তিনি ৷

Former Pradesh Congress President Adhir Chowdhury
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 15, 2025 at 6:25 PM IST

4 Min Read

বহরমপুর, 15 এপ্রিল: সামশেরগঞ্জে অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ এবং পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার অঙ্গুলিহেলন ৷ শাসকদল ও বিরোধী বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ যদিও তিনি সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ করেননি ৷ এই অশান্তি সামলাতে পুলিশি ব্যর্থতার জন্য দায়ী পুলিশেরই কোনও এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক, অভিযোগ কংগ্রেস নেতার ৷

মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এমন অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে অশান্তির কারণ হিসাবে একাধিকবার সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়ের কথা উঠে এল ৷ পাশাপাশি ঘটনার শুরু থেকে পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয় ছিল ? তা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ সাংবাদিকদের কাছে মুর্শিদাবাদের হিংসার বিষয়ে ওয়াকফ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি তিনি ৷

সামশেরগঞ্জে অশান্তির কারণ নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সাংবাদিক বৈঠক (ইটিভি ভারত)

বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি, "গত নির্বাচনে সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়, সামশেরগঞ্জের এই অশান্তির পিছনে একটা কারণ ৷ যারা এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা জানত না এর ব্যাপ্তি এতটা হবে ৷ যারা ভোটে হেরে যাবে তারা আশঙ্কা করেছিল, ভোটের বিভাজনে কংগ্রেস জিতে যাবে ৷ তারা চিন্তিত ছিল ৷"

মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি ৷ এমনকী তৃণমূলের মধ্যে থেকেও এই অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে অধীরের কথায়, "পুলিশের মধ্যে কোনও 'ফিফথ কলাম' কাজ করছে কি না, তা দেখতে হবে ৷ পুলিশ কেন চুপ ছিল ? শুধু কি রাজনৈতিক নেতাদের ইশারায় ? পুলিশের মধ্যে কোনও উপরওয়ালার ইশারায় ? (অশান্তিতে) পুলিশের মধ্যে কোনও উপরওয়ালার সাম্প্রদায়িক মানসিকতা কাজ করেছে ? এই প্রশ্ন তোলা দরকার ৷"

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার দাবি, সামশেরগঞ্জে একটি গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ একইসঙ্গে ঘটনায় 14-15 জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি ৷

অধীরের প্রশ্ন, "যে অশান্তির শুরু জঙ্গিপুরের উমরপুরে ৷ তা সেখান থেকে সামশেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা হয়ে কেন ছড়িয়ে পড়ল ? পুলিশ কি মুর্শিদাবাদের ভূগোল, জনবিন্যাস জানে না ? গত বছর আমাকে ভোটে হারানোর জন্য অশান্তির ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ৷ সেখান থেকে বেলডাঙা, নওদা ৷ তারপর থেকে এক বছর ধরে অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে এই অশান্তি এমনি এমনি ছড়িয়ে পড়ছে না ৷"

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "নির্বাচনী অঙ্ক বড় খতরনাক ৷ সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের জয় যদি কারও মনে ভীতির সৃষ্টি করে থাকে, কেউ যদি মনে করে আমার হার নিশ্চিত, তাহলে অশান্তির নেপথ্যে অবশ্যই তাদের প্রশ্রয় থাকতে হবে ৷ নির্বাচনী সমীকরণ এই কথা বলছে ৷"

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের নেপথ্যে পুলিশেরই শীর্ষকর্তার দিকে আঙুল তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ৷ অধীরের বক্তব্য, "কেন পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল ? সেটা কি শুধুই রাজনৈতিক নেতাদের ইঙ্গিতে ? নাকি পুলিশেরই কোনও শীর্ষ আধিকারিকের ষড়যন্ত্র সেখানে ছিল ? আমি কোনও ব্যক্তির নাম নিচ্ছি না ৷ পুলিশ বাহিনীকে অপবাদ দিচ্ছি না ৷ কেন একটি শৃঙ্খলিত বাহিনী ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপ করে থাকবে ? কেন বিএসএফ-কে ডেকে চুপ করে বসিয়ে রাখা হল ৷ এটা জানার ও প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের আছে ৷ তাই করছি ৷"

সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদে ফিরেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ৷ এরপর এদিন সাংবাদিক বৈঠক শেষে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ তিনজনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ সেখান থেকে তিনি সরাসরি সামশেরগঞ্জ যান ৷ ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপি ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মুর্শিদাবাদে এসে দুর্গতদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন অধীর চৌধুরী ৷

সংশোধিত ওয়াকফ বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকে এর বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদে সেই আঁচ এসে পড়ে ৷ 7 এপ্রিল থেকে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জের মতো এলাকায় অশান্তির ঘটনা শুরু হয় ৷ পরদিন অর্থাৎ 8 তারিখ থেকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে ৷ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতি, ধুলিয়ান সামশেরগঞ্জ ৷

12 এপ্রিল, শনিবার এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ আদালত তাতে সম্মতি দেয় ৷ এরপর শনিবার রাত থেকে এলাকায় পুলিশের সঙ্গে টহল দিতে থাকে সিআরপিএফ জওয়ান ৷ এদিকে শুক্রবার রাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নেমেছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ এই হিংসার ঘটনায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ঘর ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷

বহরমপুর, 15 এপ্রিল: সামশেরগঞ্জে অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ এবং পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার অঙ্গুলিহেলন ৷ শাসকদল ও বিরোধী বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ যদিও তিনি সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ করেননি ৷ এই অশান্তি সামলাতে পুলিশি ব্যর্থতার জন্য দায়ী পুলিশেরই কোনও এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক, অভিযোগ কংগ্রেস নেতার ৷

মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এমন অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে অশান্তির কারণ হিসাবে একাধিকবার সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়ের কথা উঠে এল ৷ পাশাপাশি ঘটনার শুরু থেকে পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয় ছিল ? তা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ সাংবাদিকদের কাছে মুর্শিদাবাদের হিংসার বিষয়ে ওয়াকফ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি তিনি ৷

সামশেরগঞ্জে অশান্তির কারণ নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সাংবাদিক বৈঠক (ইটিভি ভারত)

বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি, "গত নির্বাচনে সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়, সামশেরগঞ্জের এই অশান্তির পিছনে একটা কারণ ৷ যারা এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা জানত না এর ব্যাপ্তি এতটা হবে ৷ যারা ভোটে হেরে যাবে তারা আশঙ্কা করেছিল, ভোটের বিভাজনে কংগ্রেস জিতে যাবে ৷ তারা চিন্তিত ছিল ৷"

মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি ৷ এমনকী তৃণমূলের মধ্যে থেকেও এই অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে অধীরের কথায়, "পুলিশের মধ্যে কোনও 'ফিফথ কলাম' কাজ করছে কি না, তা দেখতে হবে ৷ পুলিশ কেন চুপ ছিল ? শুধু কি রাজনৈতিক নেতাদের ইশারায় ? পুলিশের মধ্যে কোনও উপরওয়ালার ইশারায় ? (অশান্তিতে) পুলিশের মধ্যে কোনও উপরওয়ালার সাম্প্রদায়িক মানসিকতা কাজ করেছে ? এই প্রশ্ন তোলা দরকার ৷"

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতার দাবি, সামশেরগঞ্জে একটি গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ একইসঙ্গে ঘটনায় 14-15 জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি ৷

অধীরের প্রশ্ন, "যে অশান্তির শুরু জঙ্গিপুরের উমরপুরে ৷ তা সেখান থেকে সামশেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা হয়ে কেন ছড়িয়ে পড়ল ? পুলিশ কি মুর্শিদাবাদের ভূগোল, জনবিন্যাস জানে না ? গত বছর আমাকে ভোটে হারানোর জন্য অশান্তির ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ৷ সেখান থেকে বেলডাঙা, নওদা ৷ তারপর থেকে এক বছর ধরে অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে এই অশান্তি এমনি এমনি ছড়িয়ে পড়ছে না ৷"

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "নির্বাচনী অঙ্ক বড় খতরনাক ৷ সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের জয় যদি কারও মনে ভীতির সৃষ্টি করে থাকে, কেউ যদি মনে করে আমার হার নিশ্চিত, তাহলে অশান্তির নেপথ্যে অবশ্যই তাদের প্রশ্রয় থাকতে হবে ৷ নির্বাচনী সমীকরণ এই কথা বলছে ৷"

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের নেপথ্যে পুলিশেরই শীর্ষকর্তার দিকে আঙুল তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ৷ অধীরের বক্তব্য, "কেন পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল ? সেটা কি শুধুই রাজনৈতিক নেতাদের ইঙ্গিতে ? নাকি পুলিশেরই কোনও শীর্ষ আধিকারিকের ষড়যন্ত্র সেখানে ছিল ? আমি কোনও ব্যক্তির নাম নিচ্ছি না ৷ পুলিশ বাহিনীকে অপবাদ দিচ্ছি না ৷ কেন একটি শৃঙ্খলিত বাহিনী ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপ করে থাকবে ? কেন বিএসএফ-কে ডেকে চুপ করে বসিয়ে রাখা হল ৷ এটা জানার ও প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের আছে ৷ তাই করছি ৷"

সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদে ফিরেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ৷ এরপর এদিন সাংবাদিক বৈঠক শেষে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ তিনজনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ সেখান থেকে তিনি সরাসরি সামশেরগঞ্জ যান ৷ ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপি ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মুর্শিদাবাদে এসে দুর্গতদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন অধীর চৌধুরী ৷

সংশোধিত ওয়াকফ বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকে এর বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদে সেই আঁচ এসে পড়ে ৷ 7 এপ্রিল থেকে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জের মতো এলাকায় অশান্তির ঘটনা শুরু হয় ৷ পরদিন অর্থাৎ 8 তারিখ থেকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে ৷ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতি, ধুলিয়ান সামশেরগঞ্জ ৷

12 এপ্রিল, শনিবার এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ আদালত তাতে সম্মতি দেয় ৷ এরপর শনিবার রাত থেকে এলাকায় পুলিশের সঙ্গে টহল দিতে থাকে সিআরপিএফ জওয়ান ৷ এদিকে শুক্রবার রাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নেমেছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ এই হিংসার ঘটনায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ঘর ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.