ফলতা, 17 মার্চ: ফলতার একটি কোম্পানিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ৷ রবিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 6টি ইঞ্জিন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফলতা থানার অন্তর্গত সেক্টর 2 এলাকায় প্লাটন নামে একটি কোম্পানিতে হঠাৎই আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা ৷ আগুন দেখে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি খবর দেন দমকলকে ৷
ফলতা দমকল থেকে 2টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু, ওই কোম্পানিতে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকার কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডায়মন্ড হারবার দমকল বিভাগ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও 2টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু, বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে না-আসলে বেহালা থেকেও 2টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আসে ৷ তারপর পাঁচ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভান দমকল কর্মীরা।
কোম্পানির আধিকারিকদের এবিষয়ে কোনও মন্তব্য না-পাওয়া গেলেও বেহালা দমকল কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মিন্টু ঘোষ বলেন, "আমরা খবর পাই, ফলতার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কারখানাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে ফলতা দমকল বিভাগ থেকে 2টি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তী সময়ে ডায়মন্ড হারবার দমকল বিভাগ থেকে 2টি ও বেহালা থেকে আরও 2টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জন্য রওনা দেয়। প্রায় 5 ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।"
তিনি আরও বলেন, "ওই কারখানার মধ্যে অত্যন্ত দাহ্য বস্তু মজুত থাকার কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।" এদিকে, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফলতা থানার পুলিশ। বড়সড় দুর্ঘটনা যাতে না-ঘটে তাই ফলতা বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।"