কলকাতা, 26 মার্চ: এ যেন একেবারে 'স্পেশাল 26' ৷ তবে রিলে নয়, রিয়েলে । নিজেদের আয়কর দফতরের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাটে দেদার ডাকাতি । তবে শেষ রক্ষা হল না । অপরাধীরা প্রত্যেকেই ধরা পড়লেন । আর ধৃতদের মধ্যে পাঁচজন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্থাৎ সিআইএসএফ-এর জওয়ান । ধৃতদের মধ্যে একজন আবার চার মাস আগে আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে খবর ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিধাননগর কমিশনারেটর আওতাধীন চিনার পার্কে একটি আবাসনে স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে থাকতেন আরপি সিং নামে এক ব্যক্তি । পেশায় তিনি ছিলেন প্রোমোটার । কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ অভিযোগ, গত 17 মার্চ আয়কর দফতরের আধিকারিক সেজে তাঁর বাড়িতে হানা দেন বেশ কয়েকজন । ঘরের লোকজনকে ধমকে তাঁরা আলমারি এবং সিন্দুক খুলে প্রায় 25 ভরি সোনা ও নগদ 30 লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ।

এই ঘটনার পর স্থানীয় বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রোমোটারের স্ত্রী । ঘটনার তদন্তে নামে বাগুইআটি থানা ৷ তাদের সঙ্গে যৌথ তদন্ত চালায় বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ । এই ঘটনার তদন্তে নেমে দু'জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে পুলিশ । পরে ফরাক্কা থেকে আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁরা প্রত্যেকে সিআইএসএফ-এর জওয়ান বলে জানা গিয়েছে ।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত কুমার সিং নামে সিআইএসএফের একজন ইনস্পেক্টরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে । এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিধাননগর কমিশনারেটের এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, "যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা হল সিনিয়র ইনস্পেক্টর অমিত কুমার সিং, কনস্টেবল লক্ষ্মী কুমারী চৌধুরী, বিমল থাপা, হেড কনস্টেবল রামু সরোজ, আর জনার্দন সাউ ।" এদের মধ্যে কনস্টেবল লক্ষ্মী কুমারী চার মাস আগে আরজি করে নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর ।