কলকাতা, 1 জুলাই: রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়া ঘিরে বচসা। পরে হাসপাতালের বাইরে রোগীর আত্মীয়রা বিক্ষোভ দেখালে রবিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। লাঠিচার্জ করেন পুলিশ আধিকারিকরাও ৷ আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও ৷ ঘটনায় হুলস্থুল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বর।
রবিবার সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণের এই ঘটনার স্মৃতি উসকে দিচ্ছে বছরকয়েক আগে এক্সাইড মোড়ের ঘটনা ৷ যেখানে চোর সন্দেহে এক যুবককে ক্রসিংয়ে ফেলে তাঁর বুকে পা তুলে দিয়েছিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় তৎকালীন কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের তরফে সরানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সিভিক ভলান্টিয়ারকে ৷ সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিই ফিরল রবিবার ৷ ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে রোগীর ছেলে মহম্মদ শাহদাব ইটিভি ভারতকে জানান, মায়ের চিকিৎসার জন্য একাধিক জায়গায় ঘুরতে হয়। মা'কে একটি ইঞ্জেকশন দিলে মায়ের ব্যাথা হয়। বিষয়টি নার্সকে জানালে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন রোগীর ছেলে। এরপরে রোগীর স্বামী মেজাজ হারালে খাকি উর্দি পরিহিত পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার রোগীর ছেলে ও মেয়েকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রোগীর ছেলের। পরে হাসপাতালের বাইরে রোগীর মেয়ে ও স্বামীকেও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।
- সালিশি সভায় যুবক-যুবতীকে 'মার', অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল নেতার
অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৷ রোগীর আত্মীয়রাই প্রথমে পুলিশকে ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। ঘটনায় এক পুলিশকর্মী আহত হন বলেও অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না-হলেও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন আইনের পথে হাঁটবে।