কলকাতা, 5 জুন: চলতি মাসের 19 তারিখ দেশের একাধিক বিধানসভা ও লোকসভা উপনির্বাচন রয়েছে ৷ তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ ৷ এই আসনগুলির নির্বাচনে ভোটের হার আরও দ্রুত আপডেট করার জন্য নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন ৷ এই প্রযুক্তির সাহায্যে একদিকে যেমন অফলাইনেও তথ্য আপলোড করা যাবে, অন্যদিকে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকবে ৷
আগে কীভাবে ভোটের হার জানা যেত ?
এর আগে হাতে লিখে সেক্টর অফিসার ভোটের হার ফোন করে বা এসএমএস করে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতেন । তার পর সেটা নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে আপডেট হতো ৷ তার পর সেটা সকলে দেখতে পেতেন ৷ ফলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ ভোটের হার জানা যেত না । অনেকক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হতো পরেরদিন পর্যন্ত ।
এবার কীভাবে ভোটের হার আপডেট হবে ?
এবার থেকে ভোট চলাকালীন প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর সরাসরি ইসিআইনেট (ECINET) অ্যাপে ভোটের হার আপলোড করতে পারবেন । প্রত্যেক বুথের ভোটের হার সামগ্রিকভাবে বিধানসভাভিত্তিক জানার সুবিধা থাকবে এই অ্যাপে । ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বুথ ছাড়ার আগেই সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটের হার প্রিসাইডিং অফিসার নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করে দেবেন ।
এই বিষয়ে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা থাকবে, সেই সব অঞ্চলে অফলাইনে ইসিআইনেট অ্যাপে ভোটের হার আপলোড করতে হবে ৷ এরপর ইন্টারনেট যোগাযোগ স্থাপন হলে অফলাইনে আপলোড করা ডেটা নিজে থেকেই সিঙ্ক হয়ে যাবে ।
ভোটের হার দ্রুত জানার ব্যবস্থা করতে ভোটার টার্ন আউট (ভিটিআর) অ্যাপকে আরও উন্নত করা হয়েছে । ফলে এবার সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোটের হার জানা যাবে বলে কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে ।
ভোটকর্মী নিয়ে কমিশনের নির্দেশ
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না চুক্তিভিত্তিক এবং বেসরকারি কর্মচারীরা । ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা পৌঁছেছে দেশের সবক’টি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে । বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসার থেকে শুরু করে নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই হতে হবে সরকারি কর্মচারী কিংবা আধা সরকারি কর্মচারী ।
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে বারবারই বিরোধীরা সরব হয়েছেন এবং একাধিকবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন জমাও দিয়েছেন । তাদের অভিযোগ ছিল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করে শাসক দল নিজের লাভ করছিল ৷ কাজ হারানোর ভয়েই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা শাসক দলের হয়ে কাজ করেন ৷