শ্রীরামপুর, 16 এপ্রিল: চাঞ্চল্যকর ঘটনা ! মুক্তিপণের দাবিতে এক বৃদ্ধকে অপহরণ করল এক পুলিশকর্মী ৷ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয় অশোক দাস নামে এক ব্যক্তিকে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে ৷ কী কারণে এই ঘটনা ঘটালেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, অপহৃত বৃদ্ধের নাম তারক ভৌমিক ৷ বয়স 64 বছর । বৈদ্যবাটি 22 নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মাবতী কলোনীর বাসিন্দা তিনি । পিয়ারাপুর দিল্লি রোডের পাশে একটি চায়ের দোকান চালান । সোমবার ভোরে সেই দোকান থেকে তাঁকে একটি গাড়ি করে অপহরণ করে নিয়ে যায় তিনজন ব্যক্তি । ঘটনাটি দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় পরিবারকে । পরে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বৃদ্ধের পরিবার ।
এরপর বৃদ্ধের পরিবারকে দিনভর একাধিকবার ফোন করে 30 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, রাতেও মুক্তিপণের দাবিতে ফোন যায় বৃদ্ধার পরিবারের কাছে ৷ এরপর চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখা ও শ্রীরামপুর থানার পুলিশ মোবাইল টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । সেই সঙ্গে, উদ্ধার করা হয় অপহৃত বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকেও ।
তদন্তে জানা যায় অশোক দাস একজন পুলিশ কর্মী । চন্দননগর আদালতের এএসআই পদে নিযুক্ত । অভিযুক্তের বাড়ি শেওড়াফুলি রাজার বাগান এলাকায় । সেই এলাকা থেকেই অপহৃত বৃদ্ধকে হাত বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । মঙ্গলবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে । কী কারণে এই ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত বৃদ্ধের ছেলে কিছুদিন আগে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে গ্রেফতার হয় মাদক মামলায় । অপহৃতের মেয়ে পূজা সাহা বলেন, "দোকান খোলার সময় একটি সাদা গাড়ি করে তিনজন লোক বাবাকে অপহরণ করে । আমরা শেওড়াগুলি ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে গেলে 30 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয় । টাকা দেওয়া হলে ছাড়া হবে, না-হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় আমাদের ৷ আমার বাবার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই ।"