কলকাতা, 18 এপ্রিল: স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) অফিস আচার্য ভবন অভিযানে নামে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি থেকে ডিওয়াইএফআই ৷ বৃহস্পতিবার সল্টলেকে এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি ও সারা বাংলা প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠনের প্রতিনিধি দল।
সেখানেই ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "2016 সালের নিয়োগ প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকদের যোগ্যদের তালিকা নিয়ে কোনও কথা বলতে পারলেন না স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা। বামফ্রন্টের আমলে কোনও দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। আর এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।"
এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও আচার্য ভবন অভিযানে ছিলেন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন'রা। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে তাঁরা এদিন পৌঁছন আচার্য ভবনে ৷ প্রাথমিকভাবে মিছিলে ধস্তাধস্তি হয়। দীর্ঘক্ষণ আচার্য ভবনের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ চলে। 10 সদস্যের প্রতিনিধি দল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, "বামফ্রন্টের আমলে কোনও দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। আর এখন এই অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সরকার পরিকল্পনা করে দুর্নীতি করেছে। এই সরকারের স্কুল পরিচালন সমিতি, পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর ভেঙে দিয়েছে। সব হাতে রাখার ব্যবস্থা করেছে। সরকার দুর্নীতি করার জন্য এই কাজ করেছে। এবিটিএ বারবার বলেছে যোগ্য-অযোগ্য ভাগ কর। সরকার করেনি ।"

তিনি আরও বলেন, "এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেতা, মন্ত্রী, আমলাদের শাস্তি দিতে হবে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মেনে রাজ্যে শিক্ষা নীতি তৈরি করছেন মমতা। বড়লোকদের জন্য লেখা পড়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। সরকারি শিক্ষা কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর লড়াই জারি থাকবে। কমিশনের মুখে কোনও কথা নেই। ওএমআর শিট প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। ওরা যখন কিছু করতে পারছে না লড়াই চলবে। যোগ্যদের ফেরানোর জন্য লড়াই চলবে।"
প্রতিনিধি দলের আভিযোগ, "যোগ্য ও অযোগ্য উভয় অংশের প্রার্থীই সামিল রয়েছেন বরখাস্ত হওয়া তালিকায়। রাজ্য সরকারের সমস্ত সেক্টরে শূন্যপদে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘ লড়াই লড়ে আসছে রাজ্যের ছাত্র-যুবারা। এরপরেও সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেই একইরকমের সরকারি দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এসএসসি'র ক্ষেত্রেও যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করে তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি অপদার্থতার ফলে আজ বিপদে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ভবিষ্যৎ।"
বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে এসএসসি অফিস অভিযানে 10 বামপন্থী সংগঠন, কবে ?