কলকাতা, 9 জুন: রাজ্যে আরও বাড়ল কোভিড । শেষ 24 ঘণ্টার রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 54 জন । সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 747। সংক্রমণের নিরিখে গোটা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা । দেশজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে 6491। 24 ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 358 জন । স্বস্তির খবর এটাই যে, শেষ 24 ঘণ্টায় কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবর নেই । তবে এ প্রসঙ্গে শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি । শনিবার রাত থেকে দুটি শিশু বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । শিশুদের মধ্যে এক বছরের নীচে যারা, তাদের মধ্যে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা ।
এক বেসরকারি হাসপাতালে নিকু ইনচার্জ চিকিৎসক সহেলী দাশগুপ্ত জানান, "এবার শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । এক বছরের নীচে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । তবে এখনই প্যানিক করার কিছু নেই । কিন্তু সজাগ থাকতে হবে । এইবার শিশুদের মধ্যে বেশি উপসর্গ হিসাবে দেখা যাচ্ছে পাতলা মল ও বমি । তার সঙ্গে কাশি, সর্দি, জ্বর এবং মুত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপসর্গও থাকছে । তিন মাসের একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । শিশুটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল । ইউরিন কম করছিল, সঙ্গে ছিল সর্দি-কাশি । ওর করোনা পজিটিভ হয়েছে । আমি পরিবারের লোককে বলেছিলাম, যদি কোনও অস্বস্তি দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ যেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেই মতোই শনিবার রাতে তাকে ভর্তি করা হয়েছে ।"
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সৌমেন মেয়ুর বলেন, "শিশুদের কোভিড হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা । বাচ্চাদের মধ্যে ভাইরাস ইনফেকশন বড়দের থেকে বেশি হয় । বাচ্চাদের এই ধরনের কোনও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি । তার ফলে কোভিড মোকাবিলার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা তাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি । তাই তাদের মধ্যে হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় । কোভিড হচ্ছে ঠিকই । কিন্তু বাড়িতে থেকেই তার চিকিৎসা করা হচ্ছে । তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই । অনেক ক্ষেত্রেই টেস্ট করাতে লাগছে না । কারণ হাসপাতালে ভর্তি না হলে টেস্টের প্রসঙ্গ আসে না ।"
তবে তিনি আরও বলেন, "যে অভ্যাসগুলো আমাদের ছিল, সেগুলোই ফিরিয়ে আনতে হবে । স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে । বাচ্চাদের বারে বারে হাত ধোয়াতে হবে । বাচ্চার অভিভাবকদের বারে বারে হাত ধুতে হবে । অতিরিক্ত ভিড় জায়গায় বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না । পাঁচ বছর না-হলে মাস্ক পরাতে আমরা বারণ করি । তবে বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যতটা রাখা সম্ভব ততটাই ভালো ।"