ETV Bharat / state

সেমিনার রুমে ছিলাম, তবে আইএমএ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ অসাংবিধানিক: চিকিৎসক - RG Kar Doctor Rape and Murder

RG Kar Doctor Rape and Murder: আইএমএ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তীকে ৷ এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়ানো এই চিকিৎসক ৷ পাশাপাশি ঘটনার দিন আরজি করের সেমিনার রুমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 11, 2024, 7:18 PM IST

RG Kar Doctor Rape and Murder
আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়ানো চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী (নিজস্ব ছবি)

মালদা, 11 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তিন বিতর্কিত চিকিৎসক সুশান্তকুমার রায়, অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা ৷ ঠিক একই কারণে আইএমএ-এর মালদা শাখার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাপস চক্রবর্তীকে ৷ সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইএমএ-এর মালদা শাখার পদাধিকারীরা ৷ কিন্তু তাঁর এই অপসারণ অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছেন তাপস ৷ তবে ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷

ঘটনার দিন সেমিনার রুমে ছিলেন, মানলেন চিকিৎসক (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ যেখানে ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল একাধিক চিকিৎসককে ৷ তাঁদের অনেকের সেখানে থাকার কথাই নয় ৷ এ নিয়ে রাজ্যের চিকিৎসক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ একাধিক চিকিৎসক আইএমএ-এর সদস্যপদ ছাড়ার জন্য নিজেদের ইস্তফাপত্র সংগঠনে পেশ করেন ৷

সেদিকে নজর রেখে গত 4 সেপ্টেম্বর টিম আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি দিলীপকুমার দত্ত সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সুদীপ্ত রায়কে আইএমএ-র সহ সভাপতি সুশান্তকুমার রায়, পিই কমিটির সদস্য বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং তিন সদস্য অভীক দে, তাপস চক্রবর্তী ও দীপাঞ্জন হালদারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন ৷ তার ভিত্তিতে গত 7 সেপ্টেম্বর আইএমএ-এর মালদা শাখা তড়িঘড়ি গভর্নিং বডির বৈঠক ডেকে তাপস চক্রবর্তীকে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় ৷ অন্তবর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সায়ন্তন গুপ্তকে ৷

এই অপসারণই মেনে নিতে পারছেন না তাপস ৷ তাঁর বক্তব্য, "আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ৷ প্রতি মাসে আমাদের দুই থেকে তিনদিন বৈঠক হয় ৷ গত 8 থেকে 10 অগস্ট সেই বৈঠক ছিল ৷ 9 অগস্ট সল্টলেকের অফিসে 12টা থেকে বৈঠক শুরু হয় ৷ দেড়টা-পৌনে দুটো নাগাদ আরজি করের মর্মান্তিক খবর আমাদের কাছে পৌঁছয় ৷ বৈঠকের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের একটি প্রতিনিধি দল আরজি করে যাবে এবং কাউন্সিলের দাবি হেলথ অথরিটির কাছে পৌঁছে দেবে ৷ সেই প্রতিনিধি দলে আমি, সুশান্ত রায় আর সুহৃতা পাল ছিলাম ৷"

তিনি বলেন, "আরজি করে যখন পৌঁছই, তখন সেখানে অনেক মানুষ ছিল ৷ পুলিশ, চিকিৎসক, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছিলেন ৷ সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীর সঙ্গেই আমরা সেমিনার রুমে যাই ৷ সেখানে দেখি, ডিএমই, স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার একসঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ আমরা নিজেদের দাবি দুই অথরিটিকে জানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ৷ সেখানে তদন্তের স্বার্থে সরকারি আধিকারিকরা কাজ করছিলেন ৷ তবে সন্দীপ ঘোষ সেখানে ছিলেন না ৷ সকাল 6’টা নাগাদ দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই সময় ডিএমই-এর অনুরোধে আমরা একটি জায়গায় চা খেয়ে বেরিয়ে যাই ৷ আমরা ঘণ্টা দুয়েক সেখানে ছিলাম ৷ তবে দেহ দেখতে পাইনি ৷"

তাপস চক্রবর্তীর দাবি, 10 অগস্ট আমি সংগঠনের সম্পাদককে ফোন করে এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করে নিই ৷ 11 তারিখ থেকে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে ৷ আমি যে 9 অগস্ট আরজি করে গিয়েছিলাম, সেকথা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সবাইকে জানিয়েছি ৷ 6 ও 7 সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক কাজে আমি কলকাতায় ছিলাম ৷ 5 অগস্ট থেকে সংগঠনের হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বৈঠক ডাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন ৷ অথচ আগের বৈঠকগুলিতে তাঁরা কেউ হাজির হননি ৷"

তাঁর কথায়, "ওই পোস্টগুলির ভিত্তিতে আমাদের সেক্রেটারি পীযূষকান্তি মণ্ডল আমার কাছে কী করণীয় জানতে চান ৷ আমি তাঁকে জানাই, সহ-সভাপতি হিমাচল দাশ আর পীযূষবাবুর নামে বৈঠকের নোটিশ বেরোবে ৷ সেই অনুযায়ী বৈঠক ডাকা হয় ৷ সেখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সদস্য যে আচরণ করেছেন তা আইএমএ মালদার কোনও বৈঠকে দেখা যায়নি ৷ ওই বৈঠকে আমাকে সরিয়ে ইন্টেরিম সভাপতি, কো সেক্রেটারি আর স্পোকসপার্সনের পদ গঠন করেছে ৷ যা আইএমএ-এর সংবিধানে নেই ৷ সংবিধান অনুযায়ী আমি এখনও আইএমএ-এর মালদা শাখার সভাপতি ৷ সেটা গুটিকয়েক চিকিৎসক নাও মানতে পারেন ৷ কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য আমাকেই সভাপতি পদে ভরসা করেন ৷ আমি একটা অসাংবিধানিক কাজকে মান্যতা দিতে পারি না ৷ 2025 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি এই পদেই রয়েছি ৷"

এ দিকে আইএমএ-এর মালদা শাখার সহ-সভাপতি হিমাচল দাস বলেন, "তাপসবাবু নিজেই বলেছেন, 9 অগস্ট অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি আরজি করে উপস্থিত ছিলেন ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে নিয়ে আমরা নানা খবর পাচ্ছিলাম ৷ তার ভিত্তিতে আমাদের একাধিক সদস্যের মনে ক্ষোভ জাগে ৷ তার জন্য জিবি মিটিং ডাকা হয় ৷ তদানীন্তন সভাপতি তাপসবাবু নিজেই আমাকে সেই বৈঠক ডাকার অনুমোদন দেন ৷ এক ঘণ্টার নোটিশে সেই মিটিং ডাকা হয় ৷ তাতেও বেশ কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সাময়িকভাবে তাপসবাবুকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল ৷"

তাঁর বক্তব্য, "আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সায়ন্তন গুপ্তকে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি মনোনীত করি ৷ কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে তাপসবাবু সেদিন আরজি করে যেতেই পারেন ৷ কিন্তু তিনি সেমিনার রুমে গেলেন কেন ? তিনি কার কার সঙ্গে কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন ? এ নিয়ে আমাদের প্রশ্ন ছিলই ৷ তারই মধ্যে আইএমএ-এর রাজ্য শাখা মেডিক্যাল কাউন্সিলকে কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ এতে আমাদের সন্দেহ আরও বাড়ে ৷ তবে কি তাপসবাবুরা দোষী ছিলেন ? গত বছর থেকে আমাদের সংগঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ তাপসবাবু যদি ফের সভাপতির পদে বসতে চান, তাঁকে নির্বাচনে জিতেই আসতে হবে ৷"

মালদা, 11 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তিন বিতর্কিত চিকিৎসক সুশান্তকুমার রায়, অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা ৷ ঠিক একই কারণে আইএমএ-এর মালদা শাখার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাপস চক্রবর্তীকে ৷ সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইএমএ-এর মালদা শাখার পদাধিকারীরা ৷ কিন্তু তাঁর এই অপসারণ অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছেন তাপস ৷ তবে ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷

ঘটনার দিন সেমিনার রুমে ছিলেন, মানলেন চিকিৎসক (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ যেখানে ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল একাধিক চিকিৎসককে ৷ তাঁদের অনেকের সেখানে থাকার কথাই নয় ৷ এ নিয়ে রাজ্যের চিকিৎসক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ একাধিক চিকিৎসক আইএমএ-এর সদস্যপদ ছাড়ার জন্য নিজেদের ইস্তফাপত্র সংগঠনে পেশ করেন ৷

সেদিকে নজর রেখে গত 4 সেপ্টেম্বর টিম আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি দিলীপকুমার দত্ত সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সুদীপ্ত রায়কে আইএমএ-র সহ সভাপতি সুশান্তকুমার রায়, পিই কমিটির সদস্য বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং তিন সদস্য অভীক দে, তাপস চক্রবর্তী ও দীপাঞ্জন হালদারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন ৷ তার ভিত্তিতে গত 7 সেপ্টেম্বর আইএমএ-এর মালদা শাখা তড়িঘড়ি গভর্নিং বডির বৈঠক ডেকে তাপস চক্রবর্তীকে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় ৷ অন্তবর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সায়ন্তন গুপ্তকে ৷

এই অপসারণই মেনে নিতে পারছেন না তাপস ৷ তাঁর বক্তব্য, "আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ৷ প্রতি মাসে আমাদের দুই থেকে তিনদিন বৈঠক হয় ৷ গত 8 থেকে 10 অগস্ট সেই বৈঠক ছিল ৷ 9 অগস্ট সল্টলেকের অফিসে 12টা থেকে বৈঠক শুরু হয় ৷ দেড়টা-পৌনে দুটো নাগাদ আরজি করের মর্মান্তিক খবর আমাদের কাছে পৌঁছয় ৷ বৈঠকের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের একটি প্রতিনিধি দল আরজি করে যাবে এবং কাউন্সিলের দাবি হেলথ অথরিটির কাছে পৌঁছে দেবে ৷ সেই প্রতিনিধি দলে আমি, সুশান্ত রায় আর সুহৃতা পাল ছিলাম ৷"

তিনি বলেন, "আরজি করে যখন পৌঁছই, তখন সেখানে অনেক মানুষ ছিল ৷ পুলিশ, চিকিৎসক, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছিলেন ৷ সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীর সঙ্গেই আমরা সেমিনার রুমে যাই ৷ সেখানে দেখি, ডিএমই, স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার একসঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ আমরা নিজেদের দাবি দুই অথরিটিকে জানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ৷ সেখানে তদন্তের স্বার্থে সরকারি আধিকারিকরা কাজ করছিলেন ৷ তবে সন্দীপ ঘোষ সেখানে ছিলেন না ৷ সকাল 6’টা নাগাদ দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই সময় ডিএমই-এর অনুরোধে আমরা একটি জায়গায় চা খেয়ে বেরিয়ে যাই ৷ আমরা ঘণ্টা দুয়েক সেখানে ছিলাম ৷ তবে দেহ দেখতে পাইনি ৷"

তাপস চক্রবর্তীর দাবি, 10 অগস্ট আমি সংগঠনের সম্পাদককে ফোন করে এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করে নিই ৷ 11 তারিখ থেকে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে ৷ আমি যে 9 অগস্ট আরজি করে গিয়েছিলাম, সেকথা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সবাইকে জানিয়েছি ৷ 6 ও 7 সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক কাজে আমি কলকাতায় ছিলাম ৷ 5 অগস্ট থেকে সংগঠনের হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বৈঠক ডাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন ৷ অথচ আগের বৈঠকগুলিতে তাঁরা কেউ হাজির হননি ৷"

তাঁর কথায়, "ওই পোস্টগুলির ভিত্তিতে আমাদের সেক্রেটারি পীযূষকান্তি মণ্ডল আমার কাছে কী করণীয় জানতে চান ৷ আমি তাঁকে জানাই, সহ-সভাপতি হিমাচল দাশ আর পীযূষবাবুর নামে বৈঠকের নোটিশ বেরোবে ৷ সেই অনুযায়ী বৈঠক ডাকা হয় ৷ সেখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সদস্য যে আচরণ করেছেন তা আইএমএ মালদার কোনও বৈঠকে দেখা যায়নি ৷ ওই বৈঠকে আমাকে সরিয়ে ইন্টেরিম সভাপতি, কো সেক্রেটারি আর স্পোকসপার্সনের পদ গঠন করেছে ৷ যা আইএমএ-এর সংবিধানে নেই ৷ সংবিধান অনুযায়ী আমি এখনও আইএমএ-এর মালদা শাখার সভাপতি ৷ সেটা গুটিকয়েক চিকিৎসক নাও মানতে পারেন ৷ কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য আমাকেই সভাপতি পদে ভরসা করেন ৷ আমি একটা অসাংবিধানিক কাজকে মান্যতা দিতে পারি না ৷ 2025 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি এই পদেই রয়েছি ৷"

এ দিকে আইএমএ-এর মালদা শাখার সহ-সভাপতি হিমাচল দাস বলেন, "তাপসবাবু নিজেই বলেছেন, 9 অগস্ট অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি আরজি করে উপস্থিত ছিলেন ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে নিয়ে আমরা নানা খবর পাচ্ছিলাম ৷ তার ভিত্তিতে আমাদের একাধিক সদস্যের মনে ক্ষোভ জাগে ৷ তার জন্য জিবি মিটিং ডাকা হয় ৷ তদানীন্তন সভাপতি তাপসবাবু নিজেই আমাকে সেই বৈঠক ডাকার অনুমোদন দেন ৷ এক ঘণ্টার নোটিশে সেই মিটিং ডাকা হয় ৷ তাতেও বেশ কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সাময়িকভাবে তাপসবাবুকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল ৷"

তাঁর বক্তব্য, "আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সায়ন্তন গুপ্তকে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি মনোনীত করি ৷ কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে তাপসবাবু সেদিন আরজি করে যেতেই পারেন ৷ কিন্তু তিনি সেমিনার রুমে গেলেন কেন ? তিনি কার কার সঙ্গে কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন ? এ নিয়ে আমাদের প্রশ্ন ছিলই ৷ তারই মধ্যে আইএমএ-এর রাজ্য শাখা মেডিক্যাল কাউন্সিলকে কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ এতে আমাদের সন্দেহ আরও বাড়ে ৷ তবে কি তাপসবাবুরা দোষী ছিলেন ? গত বছর থেকে আমাদের সংগঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ তাপসবাবু যদি ফের সভাপতির পদে বসতে চান, তাঁকে নির্বাচনে জিতেই আসতে হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.