কোচবিহার, 20 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল পরিদর্শনে গেলেন কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা ৷ তাঁর সঙ্গেই ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যও । কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ স্কুলের মধ্যে অন্যতম শতবর্ষ প্রাচীন এই জেনকিন্স স্কুল । সেই স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল ৷ এরপরই স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই নির্দেশ মোতাবেক কাজ করলেন জেলাশাসক ৷
বরাবরই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যস্তরে ভালো ফল করে এই স্কুল । তারপরও স্কুলের ক্লাসরুম থেকে শুরু করে শিক্ষকদের জন্য যে স্টাফ রুম আছে তার বেহাল অবস্থা নিয়ে অভিযোগ ওঠে ৷ বর্ষার সময় ক্লাস রুমগুলিতে জল পড়ে পড়াশুনার অসুবিধা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে ।
এর মধ্যেই সোমবার কোচবিহারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার সকালে তিনি যখন কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় জেনকিন্স স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা তাদের স্কুল গেটের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন । অনুরোধ শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন ৷ তখনই স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা স্কুলের ক্লাসরুম-সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে ৷
অভিযোগ শুনে সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য । বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ মেনে স্কুল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা ও জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য । স্কুলের ক্লাসরুম পরিদর্শনের পাশাপাশি মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা ।
পরে জেলাশাসক জানান, স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছিল । তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এদিন আমরা এসেছি । পূর্ত দফতরের আধিকারিকরাও এসেছেন । এস্টিমেট করতে বলা হয়েছে ৷" জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার বলেন, "স্কুলের বিভিন্ন সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম । এদিন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার এসেছিলেন । সবটা খতিয়ে দেখেছেন ।"