দুর্গাপুর, 22 এপ্রিল: "যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন এবার তাঁদের খুঁজবে সিবিআই, তাঁদেরও সুদ সমেত টাকা ফেরত দিতে হবে ৷" 2016 এসএসসি-র নিয়োগ মামলায় প্রায় 26 হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল নিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
সোমবার, 2016 সালে নিয়োগ হওয়া 25 হাজার 753 জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রয়োজন হলে বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েও তদন্ত চালাতে পারে সিবিআই। লোকসভা নির্বাচনের আবহে কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারের পরেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদের কর্মিসভায় যোগ দিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন," পরীক্ষায় দু'নম্বরি হয়েছে। বহু লোকের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। সাদা খাতা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছিল এবার তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।"
তাঁর আরও সংযোজন, "রাজ্যে সংকট তৈরির দায় রাজ্য সরকার আর তৃণমূল নেতাদের। এই চাকরি যাঁরা টাকার বিনিময় দিয়েছিলেন এবার সিবিআই তাঁদের খুঁজবে। ওটাই সিবিআইয়ের আসল কাজ। যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা তো বঞ্চিত হয়েছেই। তাঁরা তো বিচার পাবেই। কিন্তু যাঁরা টাকা নিয়ে এই অন্যায় করেছেন তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ আর না-করতে পারে। পা-থেকে মাথা সবাইকে ধরা হবে। পশ্চিমবঙ্গে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি।"
তিনি আরও বলেন, "যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদেরকে বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তাঁদেরও সুদ-সহ টাকা ফেরত দিতে হবে। রাজ্য সরকার কয়েক বছর ধরে ধাক্কা খেয়ে আসছে," বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। নির্বাচন শুরু হওয়ার পরে হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন এসএসসি'র চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: