কলকাতা, 13 এপ্রিল: দিঘার বুকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে চলতি মাসের শেষে ৷ আগামী 30 এপ্রিল সমুদ্রসৈকতের শহরে জগন্নাথধামের দ্বার খুলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার আগে সৈকত শহরে উৎসবের আবহ । প্রশাসনিক প্রস্তুতি থেকে শুরু করে আতিথি বন্দোবস্ত, সবেতেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ।
জানা গিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনিক কর্তা, নামী শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্টজন ৷ এমনকি রুপোলি পর্দার বেশ কিছু পরিচিত মুখও । তাঁদের থাকার জন্য দিঘার সরকারি অতিথিশালাগুলি আগেই সংরক্ষিত করা হয়েছে ৷ তৈরি হচ্ছে দু'টি অস্থায়ী হেলিপ্যাড—যাতে অতিথিদের যাতায়াতে কোনও সমস্যা না-হয়। ইতিমধ্যে একটি স্থায়ী হেলিপ্যাড চালু রয়েছে ৷
শনিবার এই নিয়ে প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের খবর, উদ্বোধনের দিন দিঘায় 12 থেকে 14 হাজার মানুষ থাকবেন বলে অনুমান। সেই অনুযায়ী মঞ্চ, আলোকসজ্জা, সাউন্ড-সহ যাবতীয় প্রস্তুতির তদারকি শুরু হয়েছে । বেসরকারি হোটেল ও লজগুলিতেও রিজার্ভেশন চলছে জোরকদমে । প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, অন্তত 250 জন ভিআইপি ওই দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন ৷

মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 29 এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে । ওই দিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ৷ আর পরদিন হবে উদ্বোধন। জেলা প্রশাসনের আশা, এই দু'দিন এবং তার পরে দীঘায় দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীর ঢল নামবে। লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে সব কিছু ৷ নিরাপত্তা, চিকিৎসা এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নজর দেওয়া হয়েছে ৷
পর্যটকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, 27 এপ্রিল থেকে 1 মে পর্যন্ত দিঘার কোনও সরকারি গেস্ট হাউসে সাধারণ পর্যটক থাকতে পারবেন না। অধিকাংশ গেস্ট হাউস দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অন্তর্গত । এগুলি ওই সময়ে শুধুমাত্র সরকারি অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে । সব মিলিয়ে, দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন উপলক্ষে ধর্ম, সংস্কৃতি ও রাজনীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ৷