আসানসোল, 18 ফেব্রুয়ারি: একদিকে দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা, অন্যদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল স্টেশনে হুড়োহুড়ি । তারপর রেলের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল, মহাকুম্ভের জন্য স্পেশাল বা অনান্য ট্রেন রওনা দেওয়ার পরবর্তী দিনগুলোতে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে । সেই মতো মঙ্গলবার আসানসোল থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রেন ছিল । রেলের সুন্দর পরিকল্পনায় দুপুর দেড়টা নাগাদ সুষ্ঠুভাবে স্পেশাল ট্রেন রেলযাত্রীদের নিয়ে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিল । লাইন করে ধীরে ধীরে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে সাহায্য করল রেলপুলিশ ৷
মঙ্গলবার বেলা 11টা 15তে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে আসানসোল থেকে স্পেশাল ট্রেন ছিল । কিন্তু বিশেষ কারণে ট্রেনটির সময়সীমা পরিবর্তন করা হয় । দুপুর দেড়টায় সেই ট্রেন ছাড়া হবে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয় । তবে রেল যাত্রীদের কাছে সেই খবর সময়মতো না পৌঁছানোয় অনেকে বেলা 11টার আগে স্টেশন চত্বরে পৌঁছে যান । ফলে দু'ঘণ্টা ধরে অনেককেই অপেক্ষা করতে হয় ।
সেটা যাত্রীদের সাময়িক বিরক্তির কারণ হলেও রেলের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীরা খুশি । যাত্রীদের অপেক্ষা করার জন্য স্টেশন চত্বরে বড় শেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । এছাড়াও ছিল পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা । ট্রেন 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মে দিতেই আরপিএফ ও রেলপুলিশের তৎপরতায় যাত্রীদের লাইন করে ধাপে ধাপে নিয়ে আসা হয় । আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল দক্ষিণ ও উত্তর থানার পুলিশ-সহ রেলপুলিশ ও আরপিএফকে সহযোগিতা করে যাতে হুড়োহুড়ির ঘটনা না ঘটে ।
প্রথমে এসি বগির যাত্রীর নিয়ে আসা হয়, তারপর স্লিপার কোচের যাত্রীদের লাইন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে নিয়ে আসা হয় । শেষে জেনারেল কামরার যাত্রীদের লাইন দিয়ে ধাপে ধাপে আনা হয় । প্রত্যেক যাত্রীরাই আরাম করে সিটে বসার সুযোগ পেয়েছেন । রেলের এই ব্যবস্থায় খুশি যাত্রীরা ।

ঝাড়খন্ডের জামতাড়া থেকে এই ট্রেন ধরতে এসেছিলেন সুবল ভান্ডারী । তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "রবিবারের ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় দেখে সাময়িক ভয় পেয়েছিলাম । কিন্তু আজ রেলের ব্যবস্থায় খুব খুশি আমরা । খুব সুন্দরভাবে ট্রেনে উঠতে পেরেছি আমরা ।"
আরেক রেলযাত্রী ঝাড়খন্ডের নলার বাসিন্দা সুখেন মণ্ডল বলেন, "ট্রেন ধরার জন্য আমাদেরকে দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ৷ সেটা অসুবিধা হয়েছে ঠিকই কিন্তু রেল প্রশাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থায় আমরা ভালো করেই ট্রেনে চড়েছি । সবাই সিট পেয়েছে । খুব ভালো ব্যবস্থা ।"
রেলযাত্রীরা চাইছেন যেভাবে তারা ট্রেনে চড়ে সুস্থভাবে বসে ভ্রমণ করতে পারছেন, যেন মহাকুম্ভে স্নান করে তারা এভাবেই ফিরতে পারেন ।
