কালিম্পং, 15 জুন: তিস্তায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দার্জিলিংয়ের সাংসদ ৷ নিজেকে 'অভিভাবকহীন' বলেও মনে করছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ ৷ "আমি নিজেকে প্রতারিত মনে করছি। যেমন এখন আমি নিজেকে অভিভাবকহীন, অনাথ মনে করছি।" সিকিমে টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তা বাজারে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।
তাঁর আরও অভিযোগ, গত অক্টোবরের হড়পা বানের পর রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে আসেননি। তাঁর কথায়, "তিস্তা থেকে সরকার গায়েব হয়ে গিয়েছে। আমি সাংসদ হিসেবে যথাসাধ্য করার চেষ্টা করব।" অন্যদিকে, সিকিমের পাশাপাশি দার্জিলিংয়েও সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করেছে রাজ্য সরকার। দার্জিলিংয়ের পুলবাজার ব্লকের শিংলা চেকপোস্টে ওই হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আধিকারিক দুলালচন্দ্র দাস, তিলকুমার রাই, ওমপ্রকাশ শশাঙ্কেরকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাদের মোবাইল নম্বর ও হেল্প লাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শনিবার সকালেও গরুবাথান, লাভা, আলগাডা হয়ে ছোট যান চলাচল করছে। সিকিমের মাল্লি থেকে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক গত দু'দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে কালিম্পংও। পাশাপাশি ঘুম, জোরবাংলো হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার মূল সড়কও এদিন বন্ধ রয়েছে। যদিও দার্জিলিং যাওয়ার পাঙখাবাড়ি ও রোহিনী সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তিস্তাবাজার, 27 মাইল, মাল্লিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। তবে মাল্লির কাছে ফের এক জায়গায় জাতীয় সড়ক তিস্তার জলের স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিন গোটা তিস্তাবাজার এলাকা পরিদর্শন করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি কালিম্পংয়ের বিডিও শামিরুল ইসলাম-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তারপরও অবশ্য রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন রাজু বিস্তা ৷