ETV Bharat / state

'প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে না', বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যকে আক্রমণ সেলিমের - Flood Situation in Bengal

Mohammed Salim: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ৷ সেই নিয়ে এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানালেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর কথায়, মমতা ও মোদি কেউই প্রতিবেশী দেশ বা রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন না ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 19, 2024, 9:38 PM IST

Mohammed Salim
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম (নিজস্ব ছবি)

শিলিগুড়ি, কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বিধঁলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় যোগ দিতে শিলিগুড়ি পৌঁছন তিনি । আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের জল ছাড়ার ফলে রাজ্যে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে তোপ দাগলেন এই সিপিএম নেতা ।

কেন্দ্র ও রাজ্যকে আক্রমণ সেলিমের (ইটিভি ভারত)

এ দিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "এটা সবাই অবগত যে ডিভিসিতে রাজ্য ও কেন্দ্রর যৌথ অংশীদার রয়েছে । সেই জায়গায় তাহলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি কী করছিল? শুকনো মরশুমে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়, কৃষকরা জল চাইছে, অথচ জল দেওয়া হয় না ৷ আর যখন বৃষ্টির ফলে বন্যার উপক্রম হবে তখন জল ছাড়া হবে ৷ কেন কেন্দ্র আর রাজ্য বাঁধের বা ব্যারেজের ম্যানেজমেন্ট কর‍তে পারে না? কেন বাঁধ নির্মাণ ঠিকমতো হয় না । বাঁধগুলো কেন ভেঙে যাচ্ছে? বাঁধের থেকে জল ছাড়ালে নদীগুলোর জলধারণের ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছে । কেন ঠিকমতো ড্রেজিং হচ্ছে না?"

অন্যদিকে এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার । সেই বিষয়ে এ দিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "যেমন প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে না, তেমনই মমতাও প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে না ।" টানা বৃষ্টি ও তিন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যের এলাধিক জেলা জলের তলায় । লাখ লাখ কিউসেক জলে প্লাবিত হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা । ঘর ছাড়া লাখ লাখ মানুষ । সেই সব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিল সিপিএম ।

বৃহস্পতিবার মহম্মদ সেলিম বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে একটানা ভারী বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে । হুগলী, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে বহু মানুষ দুর্গত অবস্থায় রয়েছেন । এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বন্যা কবলিত এলাকায় পার্টিকে বৃহত্তর জনসমষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"

সিপিএমের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ড্যাম ও ব্যারেজের নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ, জলধারনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, নদী নালার জলের ধারা বহন ও নিষ্কাশনের উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে । সেই ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ দেখা যাচ্ছে । সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।

তাই সিপিএম পার্টি ও তার গণসংগঠন সমূহকে এই অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে । রেড ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, উদ্ধার, ত্রাণ, চিকিৎসা, পুনর্বাসনের কাজে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণের দিকে নজর দিতে হবে ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের পর বুধবারও বানভাসী জেলাগুলির পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।' ম্যান মেড বন্যা'র অভিযোগ করেছেন তিনি । তাঁর কথায়, "অন্যন্যবারের তুলনায় এ বছর জল বেশি ছাড়া হয়েছে । ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ডিভিসি ঝাড়খণ্ডকে বাঁচায় । সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । বাংলাকে ইচ্ছা করে বঞ্চনা করা হচ্ছে ।"

অন্যদিকে শিলিগুড়িতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের তলবের বিষয়ে মুখ খোলেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "তাঁকে তলব নয়, সহযোগিতার জন্য ডাকা হয়েছে । যেভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে ৷ যেভাবে নির্যাতিতার বাবা মাকে আটকে দেহ তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল । সেগুলো তো বিবৃত কর‍তে হবে । সেজন্যই মীনাক্ষীকে ডাকা হয়েছিল ।"

শিলিগুড়ি, কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বিধঁলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় যোগ দিতে শিলিগুড়ি পৌঁছন তিনি । আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের জল ছাড়ার ফলে রাজ্যে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে তোপ দাগলেন এই সিপিএম নেতা ।

কেন্দ্র ও রাজ্যকে আক্রমণ সেলিমের (ইটিভি ভারত)

এ দিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "এটা সবাই অবগত যে ডিভিসিতে রাজ্য ও কেন্দ্রর যৌথ অংশীদার রয়েছে । সেই জায়গায় তাহলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি কী করছিল? শুকনো মরশুমে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়, কৃষকরা জল চাইছে, অথচ জল দেওয়া হয় না ৷ আর যখন বৃষ্টির ফলে বন্যার উপক্রম হবে তখন জল ছাড়া হবে ৷ কেন কেন্দ্র আর রাজ্য বাঁধের বা ব্যারেজের ম্যানেজমেন্ট কর‍তে পারে না? কেন বাঁধ নির্মাণ ঠিকমতো হয় না । বাঁধগুলো কেন ভেঙে যাচ্ছে? বাঁধের থেকে জল ছাড়ালে নদীগুলোর জলধারণের ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছে । কেন ঠিকমতো ড্রেজিং হচ্ছে না?"

অন্যদিকে এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার । সেই বিষয়ে এ দিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "যেমন প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে না, তেমনই মমতাও প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে না ।" টানা বৃষ্টি ও তিন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যের এলাধিক জেলা জলের তলায় । লাখ লাখ কিউসেক জলে প্লাবিত হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গা । ঘর ছাড়া লাখ লাখ মানুষ । সেই সব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিল সিপিএম ।

বৃহস্পতিবার মহম্মদ সেলিম বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে একটানা ভারী বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে । হুগলী, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে বহু মানুষ দুর্গত অবস্থায় রয়েছেন । এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বন্যা কবলিত এলাকায় পার্টিকে বৃহত্তর জনসমষ্টিকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"

সিপিএমের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ড্যাম ও ব্যারেজের নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ, জলধারনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, নদী নালার জলের ধারা বহন ও নিষ্কাশনের উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে । সেই ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ দেখা যাচ্ছে । সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।

তাই সিপিএম পার্টি ও তার গণসংগঠন সমূহকে এই অবস্থায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে । রেড ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, উদ্ধার, ত্রাণ, চিকিৎসা, পুনর্বাসনের কাজে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণের দিকে নজর দিতে হবে ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের পর বুধবারও বানভাসী জেলাগুলির পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।' ম্যান মেড বন্যা'র অভিযোগ করেছেন তিনি । তাঁর কথায়, "অন্যন্যবারের তুলনায় এ বছর জল বেশি ছাড়া হয়েছে । ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ডিভিসি ঝাড়খণ্ডকে বাঁচায় । সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । বাংলাকে ইচ্ছা করে বঞ্চনা করা হচ্ছে ।"

অন্যদিকে শিলিগুড়িতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের তলবের বিষয়ে মুখ খোলেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "তাঁকে তলব নয়, সহযোগিতার জন্য ডাকা হয়েছে । যেভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে ৷ যেভাবে নির্যাতিতার বাবা মাকে আটকে দেহ তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল । সেগুলো তো বিবৃত কর‍তে হবে । সেজন্যই মীনাক্ষীকে ডাকা হয়েছিল ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.