কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় ৷ সরকারের পক্ষ থেকে ভিডিয়ো রেকর্ড করা হলেও তা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া যাবে না আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ৷ ফলে ফের বাতিল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-জুনিয়র চিকিৎসকদের মিটিং ৷ তারপরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ৷
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে যান প্রায় 40 জন জুনিয়র চিকিৎসক । প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও ভেস্তে যায় দু’পক্ষের বৈঠক । এবিষয়ে বিজেপি’র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, এই বৈঠক স্বাস্থ্যভবনে হতে পারত ৷ নবান্নেও হতে পারত ৷ কিন্তু তবুও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে জুনিয়র চিকিৎসকরা যান । ওরা মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বিশ্বাস করেছেন, কিন্তু বারবারই তাঁদের বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে । এই আন্দোলন অধিকারের আন্দোলন । ওরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযে সব দাবিই মেনে নিয়েছিলেন । তারপরেই অসম্মানিত করা হল ।
রাবণ, দুর্যোধন এবং দুঃশাসনের অহমের থেকেও বেশি বড় অহম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তিনি কারও দিদি নন । তিনি শুধুমাত্র একজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি । লাইভ স্ট্রিমিং আর রেকর্ডিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুবিধা কোথায় ?
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কী পরিমাণ নাটকীয়তা চলছে তা ভাবা যায় না । মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে বলে আসলেন । জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁর বাড়িতে গেলেন । কিন্তু মিটিং হল না । প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিলেন । লাইভ স্ট্রিমিং হবে না । দু’পক্ষের ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে না । সরকারি পক্ষের ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেওয়া যাবে না । কী গোপন করতে চান ? কী মিথ্যাচার করতে চান ? এটা তো সরকারের অভ্যাসের মধ্যে আছে । সরকার তো সব মিটিং লাইভ স্ট্রিমিং করে । এখানে কেউ দু’টো কথা সরকারের বিরুদ্ধে বললে সেটা ধরা পড়ে যাবে । চূড়ান্ত নাটকীয়তা ।’’
The arrest of Abhijit Mondal; Officer-in-Charge (OC) of Tala Police Station (PS), has established that the Police were directly involved in tampering evidence and acted as a stimulant to create lacuna in order to derail the investigation into the Rape and Murder of the RG Kar PGT…
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 14, 2024
অন্যদিকে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল । পাশাপাশি আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তথ্য লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষতে । এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, বিজেপির আশা সিবিআই তদন্তকে ঠিক পথে চালিত করবে । টালা থানার ওসি রাতে পোস্টমর্টেম করার চিঠি দিয়েছিলেন ৷ সেই চিঠি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই ৷ কারও নির্দেশে সেই চিঠি দিয়েছিলেন ৷ ফলে কার নির্দেশে তিনি ওই চিঠি দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে ।
এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, টালা থানার ওসি গ্রেফতারির থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে পুলিশও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত । আরজি করের ঘটনায় তদন্তকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য পুলিশ তথ্যপ্রমাণ লোপাটে সরাসরি যুক্ত । তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পুলিশের অনেক কর্তা-ব্যক্তিরা তাই অবিলম্বে নগরপাল বিনীত গোয়েলেক অপসারণ করা উচিত । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পদত্যাগ করা উচিত ।