ETV Bharat / state

আমিও ভিকটিম, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া যেকোনও শাস্তি দিন, বিচারকের কাছে শেষ আর্জি সঞ্জয়ের - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER CASE

সাজা ঘোষণার আগে এজলাসে বিচারকের সঙ্গে আর কী কী কথা হল সঞ্জয় রায়ের?

RG Kar Doctor Rape and Murder Case
আমিও ভিকটিম, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া যেকোনও শাস্তি দিন, বিচারকের কাছে শেষ আর্জি সঞ্জয়ের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 20, 2025, 2:37 PM IST

Updated : Jan 20, 2025, 3:45 PM IST

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায় যে দোষী, তা জানা গিয়েছে শনিবার ৷ আজ, সোমবার ছিল সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার দিন ৷ বেলা 12টা 35 মিনিট নাগাদ শিয়ালদা আদালতের নির্ধারিত সময়ে এজলাসে পৌঁছান বিচারক ৷ তার কিছুক্ষণ পরই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে কাঁদতে দেখা যায় ৷

শনিবার আদালত যখন এই মামলার রায়দান করে, সেই সময় সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিল ৷ বিচারককে বলতে চেয়েছিল যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ সেদিনই বিচারক সঞ্জয়কে জানিয়েছিলেন যে সোমবার তার সবকথা শুনবেন ৷ সেই মোতাবেক এদিন সঞ্জয়ের কথা শোনেন বিচারক ৷

তিনি শুরুতেই রায়ের কথা আরও একবার উল্লেখ করেন ৷ সঞ্জয় রায় যে দোষী, সেটাও জানান আরও একবার ৷ তার পর সঞ্জয়কে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য আছে ?’’ উত্তরে সঞ্জয় বিচারককে বলে, আমি কোনোটাই করিনি । আমায় ফাঁসানো হয়েছে । আমায় অত্যাচার করা হয়েছে। যেখানে ইচ্ছে সই করিয়েছে ।’’

এদিন সিবিআইয়ের ঘাড়েও দোষ চাপাতে দেখা যায় সঞ্জয়কে ৷ সে বলে, ‘‘আমাকে সিবিআই নিয়ে গিয়ে কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষা করায়নি । আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে । আমি এই অপরাধ করিনি । আমি শুধু কথা শুনেছি ।’’ যদিও বিচারক তাকে জানিয়েছেন যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ যা আদালতে জমা পড়েছিল, তার ভিত্তিতেই তিনি এই রায় দিয়েছেন ৷ তবে সঞ্জয় জানায় যে সে দোষী নয় ৷ সে-ও এই মামলায় ‘ভিকটিম’ ৷ তাই সে বিচারকের কাছে বলে, ‘‘মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কিছু (শাস্তি) দিন ৷’’

এর পর বিচারক সঞ্জয়ের কাছে জানতে চান, ‘‘বাড়িতে কে আছেন ?’’ সঞ্জয় শুধু বলে, ‘‘মা ৷’’ বিচারক জানতে চান, ‘‘কেউ যোগাযোগ করেন ?’’ সঞ্জয় বলে, ‘‘না ৷’’ তবে মায়ের কথা উল্লেখ করে জামিন দেওয়ার আর্জি জানাতে চায় সঞ্জয়কে ৷ তবে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কিছু বলতে চান ?’’ আর উত্তর দেয়নি সঞ্জয় চুপ করে থাকতে দেখা যায় তাকে ৷

বিচারক বলেন, ‘‘আমি আপনাকে সময় দিয়েছি ৷ কী হয়েছে আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না ৷ যা যা প্রমাণ এসেছে, তার উপর বিচার হবে ৷ আপনাকে তিনঘণ্টা সময় দিয়েছি ৷ আমি নিজে আপনার সঙ্গে কথা বলছি ৷ সব শুনে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছি ৷’’

সিবিআইয়ের তরফে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করা হয় ৷ সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয় যে এটা এমন ঘটনা, যা সারা বিশ্বে প্রভাব পড়েছে । হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা । বাবা-মা মেয়েকে হারিয়েছেন । বিরলের মধ্য়েও বিরলতম ঘটনা ৷

দুপুর 1টা 12 মিনিটে শিয়ালদা আদালতের 210 নম্বর ঘর খালি করে দিতে বলেন বিচারক ৷ তিনি জানান, দুপুর 2টো 45 মিনিটে রায় দেবেন তিনি ৷ সেই মোতাবেক ঘণ্টা দেড়েক পর আবার সবাই এজলাসে ফেরেন ৷ দুপুর 2টো 47 মিনিট নাগাদ এজলাসে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয় রায়কে৷ রায় পড়ে শোনান বিচারক ৷ দুপুর 2টো 51 মিনিট মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ৷

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায় যে দোষী, তা জানা গিয়েছে শনিবার ৷ আজ, সোমবার ছিল সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার দিন ৷ বেলা 12টা 35 মিনিট নাগাদ শিয়ালদা আদালতের নির্ধারিত সময়ে এজলাসে পৌঁছান বিচারক ৷ তার কিছুক্ষণ পরই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে কাঁদতে দেখা যায় ৷

শনিবার আদালত যখন এই মামলার রায়দান করে, সেই সময় সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিল ৷ বিচারককে বলতে চেয়েছিল যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ সেদিনই বিচারক সঞ্জয়কে জানিয়েছিলেন যে সোমবার তার সবকথা শুনবেন ৷ সেই মোতাবেক এদিন সঞ্জয়ের কথা শোনেন বিচারক ৷

তিনি শুরুতেই রায়ের কথা আরও একবার উল্লেখ করেন ৷ সঞ্জয় রায় যে দোষী, সেটাও জানান আরও একবার ৷ তার পর সঞ্জয়কে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য আছে ?’’ উত্তরে সঞ্জয় বিচারককে বলে, আমি কোনোটাই করিনি । আমায় ফাঁসানো হয়েছে । আমায় অত্যাচার করা হয়েছে। যেখানে ইচ্ছে সই করিয়েছে ।’’

এদিন সিবিআইয়ের ঘাড়েও দোষ চাপাতে দেখা যায় সঞ্জয়কে ৷ সে বলে, ‘‘আমাকে সিবিআই নিয়ে গিয়ে কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষা করায়নি । আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে । আমি এই অপরাধ করিনি । আমি শুধু কথা শুনেছি ।’’ যদিও বিচারক তাকে জানিয়েছেন যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ যা আদালতে জমা পড়েছিল, তার ভিত্তিতেই তিনি এই রায় দিয়েছেন ৷ তবে সঞ্জয় জানায় যে সে দোষী নয় ৷ সে-ও এই মামলায় ‘ভিকটিম’ ৷ তাই সে বিচারকের কাছে বলে, ‘‘মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কিছু (শাস্তি) দিন ৷’’

এর পর বিচারক সঞ্জয়ের কাছে জানতে চান, ‘‘বাড়িতে কে আছেন ?’’ সঞ্জয় শুধু বলে, ‘‘মা ৷’’ বিচারক জানতে চান, ‘‘কেউ যোগাযোগ করেন ?’’ সঞ্জয় বলে, ‘‘না ৷’’ তবে মায়ের কথা উল্লেখ করে জামিন দেওয়ার আর্জি জানাতে চায় সঞ্জয়কে ৷ তবে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কিছু বলতে চান ?’’ আর উত্তর দেয়নি সঞ্জয় চুপ করে থাকতে দেখা যায় তাকে ৷

বিচারক বলেন, ‘‘আমি আপনাকে সময় দিয়েছি ৷ কী হয়েছে আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না ৷ যা যা প্রমাণ এসেছে, তার উপর বিচার হবে ৷ আপনাকে তিনঘণ্টা সময় দিয়েছি ৷ আমি নিজে আপনার সঙ্গে কথা বলছি ৷ সব শুনে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছি ৷’’

সিবিআইয়ের তরফে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করা হয় ৷ সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয় যে এটা এমন ঘটনা, যা সারা বিশ্বে প্রভাব পড়েছে । হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা । বাবা-মা মেয়েকে হারিয়েছেন । বিরলের মধ্য়েও বিরলতম ঘটনা ৷

দুপুর 1টা 12 মিনিটে শিয়ালদা আদালতের 210 নম্বর ঘর খালি করে দিতে বলেন বিচারক ৷ তিনি জানান, দুপুর 2টো 45 মিনিটে রায় দেবেন তিনি ৷ সেই মোতাবেক ঘণ্টা দেড়েক পর আবার সবাই এজলাসে ফেরেন ৷ দুপুর 2টো 47 মিনিট নাগাদ এজলাসে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয় রায়কে৷ রায় পড়ে শোনান বিচারক ৷ দুপুর 2টো 51 মিনিট মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ৷

Last Updated : Jan 20, 2025, 3:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.