কলকাতা, 13 এপ্রিল: প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বিএসএফ গুলি চালানোর সুযোগ পেয়েছে ৷ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে কেউ কেউ ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছে ৷ ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতিতে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করে এমনটাই বললেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ৷
তিনি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে এবং অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করে সকল মানুষের জীবন-জীবিকা ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আবেদন জানান ৷ এই আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে শনিবার চিঠি পাঠালেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ।
তিনি শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানে বলেন, "রাজ্যে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে এবং আর একটিও প্রাণহানি যাতে না ঘটে তা যেন প্রশাসন কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয় ও আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ যাতে বজায় থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।"
তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসন কঠোরভাবে বাংলার সম্প্রীতি বজায় রাখতে ব্যবস্থা নিক । এই সংক্রান্ত প্রত্যেকটি থানায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনকে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করে প্রদেশ কংগ্রেস । কেন্দ্রীয় ও রাজ্য শাসনকারী দলের নেতৃবৃন্দ কোনও প্ররোচনামূলক ও উত্তেজনাপূর্ণ বিবৃতি দিলে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে ।"

মুর্শিদাবাদে বিএসএফের গুলি চালানো প্রসঙ্গে শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, "রাজ্য প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে বিএসএফ সুযোগ নিয়ে গুলি চালিয়েছে । বিএসএফ যে কাজ করেছে তার নিন্দা জানাই । যখন হিংসা ছড়িয়ে খুনখারাবি করে কেউ ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখে, তখন এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না । যখন প্রশাসন খেলো হয়েছে তখন এরকম ঘটনা ঘটে । দোষীদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন । সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করা হোক ।"
তিনি বলেন, "দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি, মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছি । আর কবে কঠোর পদক্ষেপ করবেন ? কেন অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে ? একদিকে চাকরিহারা, অন্যদিকে বিজেপি ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে । কংগ্রেস প্রথম থেকে এর বিরোধিতা করেছিল । আজও করছে । কংগ্রেসই প্রথম এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে । সংসদে ওয়াকফ বিল পাশ হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল । তাহলে কেন দেব ও শতাব্দী-সহ তিনজন সাংসদ অনুপস্থিত থাকলেন ?"