ETV Bharat / state

কপিল সিব্বলকে সামনে পেলে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা করতাম: অধীর চৌধুরী - KOLKATA RAPE AND MURDER

Adhir Chowdhury Slams Kapil Sibal: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছেন কপিল সিব্বল । আর এই নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের । বুধবার এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেখানেই তিনি সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 11, 2024, 10:43 PM IST

Updated : Sep 11, 2024, 11:08 PM IST

Adhir Chowdhury
অধীর রঞ্জন চৌধুরী। (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। এই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই প্রথম দিন থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের। বুধবার এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেখানেই তিনি সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ৷ এই প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি তিনি জানান, কপিল সিব্বলকে সামনে পেলে জুতোর মালা পরাতেন।

কপিল সিব্বলকে সামনে পেলে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা করতাম, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অধীর চৌধুরী (ইটিভি ভারত)

আরজি কর কাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে উত্তর 24 পরগনা জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর 12টা থেকে আজ বুধবার বিকাল 5টা পর্যন্ত রাজারহাট চৌমাথায় অনশন সত্যাগ্রহ চলেছে। আজ বুধবার এই অনশন সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অংশগ্রহণ করেন । এলাকার কিছু রাজনৈতিক কর্মীকে কংগ্রেসের যোগদান করান। মঞ্চে অনশনকারীদের নিজের হাতে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কপিল সিব্বলের প্রসঙ্গ আসতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "কপিল সিব্বলকে আমি সামনে পেলে জুতোর মালা পরাতাম। টাকার জন্য কতটা নিচে নামতে পারে মানুষ ? এছাড়া, তাঁর সম্পর্কে আর কী বলতে পারি !"

তবে, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "এই জুনিয়র ডাক্তাররা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে আন্দোলন করতে হয় । যাঁদের কোনও রাজনৈতিক রং লাগে না ৷ যাঁদের কোনও রাজনৈতিক পতাকা লাগে না। যাঁদের কোনও নেতার প্রয়োজন নেই । হক এবং বিচারের দাবিতে কীভাবে আন্দোলন করতে হয়, তা শিখিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা । আর প্রতিদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জের মতো নানা রকম অজুহাত করে লোক দেখানো চেষ্টা করছেন। দেখো, আমি ডাক্তারদের পাশে আছি। এই আন্দোলনের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই চাইতেন সঠিক বিচার তাহলে তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হাসপাতালে হামলা চালাতেন না। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখাতেন না। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুমকি দিতেন না। এখন যখন এই সমস্ত কিছু কাজে দিল না তখন নত হওয়ার ভান করছেন। উনি সত্যিই যদি বিচার চাইতেন এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ এবং গরিমাকে সম্মান জানাতেন তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠাতেন। না হলে উনি নিজে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতেন। তাতে কী হতো ? ওঁনার জাত যেত ?"

ডায়মন্ড হারবারে বিচারকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নে অধীর বলেন, "খোকাবাবুর এলাকায় বিচারকরাও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না । সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কোথায় ?"

কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। এই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই প্রথম দিন থেকে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের। বুধবার এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেখানেই তিনি সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ৷ এই প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি তিনি জানান, কপিল সিব্বলকে সামনে পেলে জুতোর মালা পরাতেন।

কপিল সিব্বলকে সামনে পেলে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা করতাম, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অধীর চৌধুরী (ইটিভি ভারত)

আরজি কর কাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে উত্তর 24 পরগনা জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর 12টা থেকে আজ বুধবার বিকাল 5টা পর্যন্ত রাজারহাট চৌমাথায় অনশন সত্যাগ্রহ চলেছে। আজ বুধবার এই অনশন সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অংশগ্রহণ করেন । এলাকার কিছু রাজনৈতিক কর্মীকে কংগ্রেসের যোগদান করান। মঞ্চে অনশনকারীদের নিজের হাতে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কপিল সিব্বলের প্রসঙ্গ আসতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "কপিল সিব্বলকে আমি সামনে পেলে জুতোর মালা পরাতাম। টাকার জন্য কতটা নিচে নামতে পারে মানুষ ? এছাড়া, তাঁর সম্পর্কে আর কী বলতে পারি !"

তবে, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "এই জুনিয়র ডাক্তাররা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে আন্দোলন করতে হয় । যাঁদের কোনও রাজনৈতিক রং লাগে না ৷ যাঁদের কোনও রাজনৈতিক পতাকা লাগে না। যাঁদের কোনও নেতার প্রয়োজন নেই । হক এবং বিচারের দাবিতে কীভাবে আন্দোলন করতে হয়, তা শিখিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা । আর প্রতিদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জের মতো নানা রকম অজুহাত করে লোক দেখানো চেষ্টা করছেন। দেখো, আমি ডাক্তারদের পাশে আছি। এই আন্দোলনের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই চাইতেন সঠিক বিচার তাহলে তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হাসপাতালে হামলা চালাতেন না। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখাতেন না। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুমকি দিতেন না। এখন যখন এই সমস্ত কিছু কাজে দিল না তখন নত হওয়ার ভান করছেন। উনি সত্যিই যদি বিচার চাইতেন এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ এবং গরিমাকে সম্মান জানাতেন তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠাতেন। না হলে উনি নিজে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতেন। তাতে কী হতো ? ওঁনার জাত যেত ?"

ডায়মন্ড হারবারে বিচারকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নে অধীর বলেন, "খোকাবাবুর এলাকায় বিচারকরাও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না । সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কোথায় ?"

Last Updated : Sep 11, 2024, 11:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.