ভুবনেশ্বর, 11 অগস্ট: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তির মাঝে ভারতে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এর মধ্যে ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যার পড়লেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা ৷ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশী তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে পড়শি রাজ্যে ৷ এতে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণের মুখে পড়ছেন তাঁরা ৷ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি সরাসরি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির সঙ্গে কথা বলেন ৷
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ এই খবর নজরে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ৷ তারপরই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ৷ এই অবস্থায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে চায় রাজ্য সরকার ৷ সেই বিষয়ে দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছে ৷
বাংলার শ্রমিকরা বাংলাদেশি ?
শনিবারই ওড়িশার খাদগিরি থানার ডুমুডুমা রহমদ-এ এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ৷ একই রকম ঘটনা ঘটেছে আলুগাদি, পানপাদার কাছে এইমস, ইনফোসিটি থানার শিখর চণ্ডিতেও ৷ ভুবনেশ্বরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন ৷ তাঁর কথায়, "পুলিশ সব থানার উপর নজর রাখছে ৷ কোথাও এই ধরনের ঘটনা নজরে এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তিনিও জানিয়েছেন কোনওভাবে আইন হাতে তুলে নিলে, তা মেনে নেওয়া হবে না ৷ সাধারণ মানুষকেও আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ৷
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়িশায় যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্রুত রাজ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ সে ক্ষেত্রে ফিরে আসার জন্য তাঁরা যাতে ওড়িশা সরকারের সাহায্য পেতে পারেন, তাই ওড়িশা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের সরাসরি বলা হয়েছে, এই অবস্থায় তাঁদের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তাঁরা সব ধরনের সাহায্য পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে ৷
চলতি বছরের মার্চ মাসে সিএএ আবহে ঠিক একইভাবে ওড়িশায় গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল মুর্শিদাবাদের প্রায় 20 জন পরিযায়ী শ্রমিককে ৷ তখন মুর্শিদাবাদের সুতি ও শামসেরগঞ্জ থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশার ভদ্রকে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন ৷ সেসময়ে তাঁদের বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ নিপীড়িত শ্রমিকরা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে ৷ বারবার এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷