জলপাইগুড়ি, 9 এপ্রিল: শিশুমৃত্যুতে গাফিলতির কারণে জলপাইগুড়ির সরকারি স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সির (সা) চার কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে । তার জেরে কর্মীর অভাবে হোমে শিশুদের দেখাশোনা করা যাচ্ছিল না । তাই ওইসব শিশুদের কোচবিহারের বেসরকারি সা'তে স্থানান্তরিত করা হল ।
জলপাইগুড়ির সা'তে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷ তদন্তে শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়ে । এরপরেই নড়চড়ে বসে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন । ওই ঘটনায় সা-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ও তিনজন আয়াকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয় । তারপরেই কর্মীর অভাব দেখা দেয় ৷ তাই জলপাইগুড়ি সা'তে থাকা শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হল কোচবিহারের বেসরকারি হোমে ।
জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনে কোরক চিলড্রেন হোম ফর বয়েজের সুপারের তত্বাবধানে এবং ওই ভবনেই চলত জলপাইগুড়ি সা । সংস্কারের কারণে 2024 সালের 25 অক্টোবর পুলিশ লাইনের পুরসভার জমিতে জলপাইগুড়ির সরকারি স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সির অস্থায়ী ভবন তৈরি করা হয় । বর্তমানে এখানেই সা রয়েছে । তবে বর্তমানে শিশুরা এখানে না থাকলেও সা-এর কাজ এই ভবনেই হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ।
জলপাইগুড়ির সরকারি স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সিতে এখন বর্তমানে দু'জন নতুন কর্মী আছে । তাঁদের অভিজ্ঞতাও কম ৷ তাদের নিয়ে সা চলতে পারে না বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ । তাই জলপাইগুড়ির সা থেকে বাচ্চাদেরকে কোচবিহারের বেসরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে । জানা গিয়েছে, সা'র বাচ্চাদের দেখভাল করার জন্য নতুন করে তিনজন আয়া নিয়োগ করা হবে এবং একজন কো-অর্ডিনেটর ও একজন নার্স নিয়োগ করা হবে । তারপর ফের শিশুদের রাখা শুরু হবে ।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জিলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক রৌনক আগরওয়াল বলেন, "স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সিতে এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর আমরা তদন্ত করে কর্মীদের গাফিলতি পেয়েছি । তাই চারজনকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি । একজন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ও তিনজন আয়াকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে । আমরা শিশুদের যথেষ্ট যত্ন নিয়েই রাখতাম ৷ কিন্তু আয়া ও কো-অর্ডিনেটরের গাফিলতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । যেহেতু আয়া ও কো-অর্ডিনেটর নেই তাই শিশুদের রাখা সমস্যা হচ্ছিল । সমস্ত দিক বিচার করেই আমরা শিশুদের মঙ্গলবার আমরা কোচবিহারের হোমে পাঠিয়েছি ৷"