আসানসোল, 16 এপ্রিল: বাঙালির সঙ্গে মাছ ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত ৷ আর তাই এবার বাংলা নববর্ষের সূচনায় চারাপোনা উৎসব করতে চলেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ তাঁর কালচারাল অ্যান্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গল সংগঠনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চারাপোনা মাছের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ৷
আগামী 20 এপ্রিল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার মাধাইগঞ্জে প্রথম চারাপোনা উৎসব হতে চলেছে ৷ আগামিদিনে আসানসোল এবং কলকাতাতেও এই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ তবে, জিতেন্দ্রর এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে বাংলাপক্ষ ৷
বাংলাপক্ষের রাজ্য সভাপতি গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দিল্লিতে যখন মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন এই জিতেন্দ্র তিওয়ারিরা চুপচাপ থাকেন, প্রতিবাদ করেন না ৷ আর বাংলায় চারাপোনা মাছের উৎসব করে আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন ৷"
কেন এই ভাবনা ?
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এ নিয়ে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত মাছ ৷ বাঙালি আর মাছ যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ৷ বিভিন্ন ধরনের মাছ এই বাংলায় পাওয়া যায় ৷ কিন্তু তার মধ্যেও যেটা সহজলভ্য, গ্রামেগঞ্জে সহজেই পুকুরে পাওয়া যায়, তা হল চারাপোনা মাছ ৷ বাঙালিক দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের সঙ্গে এই পোনা মাছের নিত্য যোগসূত্র রয়েছে ৷ আর তাই এই চারাপোনা উৎসব করা ৷ আগামী 20 এপ্রিল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার মাধাইগঞ্জে এই চারাপোনা উৎসব করা হবে ৷ ভাত, ডাল, সবজি এবং তার সঙ্গে চারাপোনা মাছ খাওয়ানো হবে আগত সবাইকে ৷ আগামিদিনে আসানসোল এবং কলকাতাতেও এই চারাপোনা মাছের উৎসব করা হবে ৷"

অন্যদিকে, চারাপোনা মাছের উৎসবকে কটাক্ষ করেছেন বাংলাপক্ষের রাজ্য সভাপতি গর্গ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন "দিল্লিতে কালীবাড়ির সামনে বাঙালিদের মাছের বাজার বন্ধ করে দিতে চাইছে তারই দলের লোকজন ৷ অন্যান্য জায়গাতেও একই আক্রমণ নামছে বাঙালি ও তাদের খাদ্যাভাসের উপরে ৷ কিন্তু, তা নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিংবা এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করেননি ৷ অথচ তারা এই রাজ্যে পোনা মাছ উৎসব করে বিষয়টাকে নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন ৷"
যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি গর্গর এই কটাক্ষের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "কোথায় মানুষ কী খাবে, মানুষ কী পরবে, সেটা তার সাংবিধানিক অধিকার ৷ কোথাও এ বিষয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই ৷ আর বাঙালিদের সঙ্গে মাছ ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত ৷ তাই আমরা চারাপোনা উৎসব করছি ৷ এখানে কোনও রাজনীতি নেই ৷ বাংলায় এর আগে কেউ তার সংস্কৃতিকে নিয়ে আশঙ্কায় ভোগেনি ৷ তাই এইসব উক্তি কখনওই ঠিক নয় ৷"