কোচবিহার, 24 মার্চ: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে আবারও উত্তেজনা। সোমবার দিনহাটার নোটাফেলা সীমান্তে ভারতীয়রদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এক ভারতীয় কৃষককে অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ভারতীয় কৃষকদের জমিতে লুঠপাট থেকে শুরু করে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাম্পও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনা ঘিরে চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদও। আন্তর্জাতিক সীমান্তে এত ঘটনা ঘটে গেলেও বিএসএফ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর। সোশাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত পোস্ট করেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর পোস্টের পর তৎপর হয় প্রশাসন। দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের নাজিরহাট 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত সংলগ্ন নোটাফেলা এলাকায় গিয়ে বিএসএফ থেকে শুরু করে গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মহকুমাশাসক বিধু শেখর, দিনহাটা 2 নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নীতিশ তামাং, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র।
অভিযোগ, দিন কয়েক আগে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বেশ কিছু বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। কৃষি জমিতে তুলে রাখা আলুর বস্তা তারা অবাধে লুঠ করে নিয়ে যায়। ভারতীয় কৃষকরা প্রতিবাদে সরব হন। এরপর এদিন আবারও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং জমির জলসেচের কাজে ব্যবহার করা জলের পাম্পে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ভারতীয় কৃষককে মারধর করে এবং কান্দুরা বর্মন নামের এক কৃষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে গ্রামবাসীদের সমবেত প্রতিরোধের ফলে তারা ভুট্টা ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র বলেন, "বিএসএফকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বিএসএফ-ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে কথা বলেছে। দুস্কৃতীদের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে।" অন্যদিকে বিডিও নীতিশ তামাংও বলেন, "এলাকায় এসে স্থানীয়দের অভিযোগ শোনা হল এবং প্রয়োজনীয় যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেটা নেওয়া হবে।"