কলকাতা, 20 মে: সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বিজ্ঞাপনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । সেখানে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মুখে তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে । বিচারপতির কথায়, এই ধরনের বিজ্ঞাপন আদর্শ আচরণবিধিকে লঙ্ঘিত করতে পারে । তারপরেই এই স্থগিতাদেশ নিয়ে মুখ খোলে তৃণমূল কংগ্রেস । তাদের তরফে বলা হয়, তৃণমূলের অভিযোগকে সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।
এই বিষয় তৃণমূলের নেত্রী তথা রাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "এই বিজ্ঞাপন শুধু অসন্তোষজনক নয় । এই বিজ্ঞাপন পুরো সংবিধান বিরোধী । নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টা খুব একটা গুরুত্ব নিয়ে দেখেনি । শুধুমাত্র একটা দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছিল, তার ভিত্তিতে ছোট একটা পদক্ষেপ করে তারা দেখিয়েছে । আমরা গুরুতরভাবে যে অভিযোগ করেছিলাম । তাকেই সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্ট ।"
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতি মূল মানেই তৃণমূল’ এবং ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ । পাশাপাশি একাধিকবার দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও নিশানা করা হয় শাসক শিবিরকে । সেই বিজ্ঞাপনেই আপত্তি জানায় জোড়াফুল । এই জন্য ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে । আগামিকাল, মঙ্গলবার 21 মে বিকেল পাঁচটার মধ্যে জবাব দিতে হবে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে । তবে কমিশনের এই পদক্ষেপে খুশি নয় তৃণমূল । কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই বিজ্ঞাপনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ।
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী 4 জুন পর্যন্ত বিজেপি এমন কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না, যাতে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হয় । আবার সংবাদমাধ্যমগুলিকেও বিজ্ঞাপন নেওয়ার আগে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার 1996 সালের গাইডলাইন মানার নির্দেশও দিয়েছে আদালত । আদালতের এই নির্দেশে খুশি তৃণমূল ।
আরও পড়ুন: