কলকাতা, 14 এপ্রিল: দুর্গাপুজো হোক কিংবা বড়দিন বা ঈদ থেকে শুরু করে চৈত্র সেল কলকাতায় কেনাকাটির জায়গা বললেই মাথায় আসে উত্তরের হাতিবাগান থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট মার্কেট । তবে এই চৈত্রের বাজারে সেই ছবি অনেকটা অন্যরকম । হকারদের ভাবিয়েছে ক্রেতাদের কম আনাগোনায় ।
তবে মলগুলিতে উপচে পড়েছে ক্রেতাদের ভিড় । হকারদের কথায়, ‘‘বেশ কিছু বছর ধরেই অনলাইনে ধাক্কা আমাদের সামলাতে হয়েছে । এবার এই বাজার এলাকাগুলোই বিভিন্ন সংস্থা মল খোলায় সেই ধাক্কায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের ।’’
হকাররা বলছেন, ‘‘গোটা চৈত্রে যে পরিমাণ বিক্রি বাট্টা হওয়ার কথা, এবার তেমনটা হয়নি । আগে চৈত্র সেল মানেই প্রায় সিংহভাগ ক্রেতা নির্ভর করতেন আমাদের হকারদের উপর । অর্থাৎ রমরমিয়ে ব্যবসা হতো । বাজার খানিকটা খারাপ হল অনলাইনে কেনাকাটা শুরু হওয়ায় । সেই ধাক্কা সামলে কিছুটা এগোলে ও সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে হাতিবাগান, গড়িয়াহাট-সহ যে সমস্ত জায়গায় বাজারে এলাকা সেখানে বিভিন্ন সংস্থা মল তৈরি হয়েছে । মলে যে গুণগতমানের পোশাক বা দ্রব্যসামগ্রী যে পরিমাণ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে, সেই লড়াইয়ে পেরে উঠছি না ।’’


তবে হকারদের যে বিক্রি বাট্টা একদম নেই, সেটা বলা ভুল । অনেক হকারই জানাচ্ছেন, বিক্রি হচ্ছে ৷ আশানুরূপ না হলেও ব্যবসা হচ্ছে অস্বীকার করার নেই । আজ চৈত্র সেলের শেষদিনে রাত পর্যন্ত চলবে কেনাকাটি চলবে বলেই হকারদের আশা ।


বছরের শেষ দিনে কেনাকাটি করতে আসা ক্রেতাদের দাবি, ‘‘মলে যে জিনিস যে টাকায় পাওয়া যায় ৷ সেই জিনিস হকার বা দোকানে তত কমে দিয়ে উঠতে পারে না ৷ ফলে আমরা খুব স্বাভাবিকভাবে অপশন হিসেবে বেছে নিচ্ছি শপিংমলকে । সেখানে না পেলেই হকারের কাছে যাচ্ছি ।’’

