ETV Bharat / state

'আরজি করে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র', 3 দিনের সিবিআই হেফাজতে সন্দীপ ও টালা থানার ওসি - KOLKATA RAPE AND MURDER

KOLKATA RAPE AND MURDER: আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত টালা থানার ওসি-কে জুতো দেখাল সাধারণ মানুষ ৷ তাঁকে ও সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করে সিবিআই ৷ তাঁদের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 15, 2024, 11:50 AM IST

Updated : Sep 15, 2024, 5:11 PM IST

ETV BHARAT
ইনসেটে টালা থানার ওসি (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যোগ রয়েছে বলে আদালতে দাবি করল সিবিআই ৷ তাদের দাবি, ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলেছিলেন টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল । এই ঘটনায় ধৃত এই দু'জনকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷

টালা থানার ওসি ও সন্দীপকে আদালতে পেশ সিবিআইয়ের (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এদিন আদালতে দাবি করেন যে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওসি-কে ঘটনার পর কী কি করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ । টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলও এই অপরাধের অংশীদার বলে দাবি করেছে সিবিআই । তাদের দাবি, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল । এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে । সকাল দশটায় দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেলেও কেন রাতে সাড়ে এগারোটার পর এফআইআর দায়ের হল, সেই প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷

সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন্স মানা হয়নি । তাঁরা আইন জানতেন না এমনটা নয় ৷ সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীরা আইনের অবমাননা করেছেন । এই প্রকারের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অফিসার ইনচার্জের তরফ থেকে এফআইআর করা উচিত ছিল ।"

সিবিআই তরফ থেকে ভরা আদালতে এদিন জানানো হয় যে, অভিজিৎ মণ্ডল একজন অফিসার ইনচার্জ বা পুলিশকর্মী হিসেবে গ্রেফতার হননি, বরং এই ঘটনায় তিনি একজন অভিযুক্ত, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন ৷ সিবিআইয়ের দাবি, ধর্ষণ ও খুনে সরাসরি অভিযুক্ত নন টালা থানার ওসি । বরং ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া টালা থানার ওসি-কে আজ তোলা হয় শিয়ালদা আদালতে ৷ তার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে যখন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হয়, তখন সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তাঁকে জুতো দেখান উত্তেজিত জনতা ৷

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই আরজি কর-কাণ্ডে জড়িত সন্দীপ ঘোষকে হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন উত্তেজিত জনতা ৷ আদালতে তোলার সময় তাঁকে গালে খেতে হয় সপাটে থাপ্পড় ৷ শুধু তাই নয়, প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় তাঁকে জুতোর বাড়িও মারা হয় ৷ আর এবার আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত টালা থানার ওসি-কেও জুতো দেখাল মানুষ ৷ একইসঙ্গে স্লোগান ওঠে, 'কলকাতা পুলিশ হায় হায়', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'৷

প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই অভিজিৎ মণ্ডলকে কোনওক্রমে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বিআর সিংহ হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে তোলা হয় শিয়ালদা হাসপাতালে ৷

পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকেও এদিন আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছে সিবিআই ৷ আরজি করে কোটি কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হেফাজতে রয়েছেন ৷ তবে তাঁকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও গতকাল গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাই তাঁকেও আজ তোলা হয় শিয়ালদা আদালতে ৷

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যোগ রয়েছে বলে আদালতে দাবি করল সিবিআই ৷ তাদের দাবি, ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলেছিলেন টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল । এই ঘটনায় ধৃত এই দু'জনকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷

টালা থানার ওসি ও সন্দীপকে আদালতে পেশ সিবিআইয়ের (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এদিন আদালতে দাবি করেন যে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওসি-কে ঘটনার পর কী কি করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ । টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলও এই অপরাধের অংশীদার বলে দাবি করেছে সিবিআই । তাদের দাবি, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল । এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে । সকাল দশটায় দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেলেও কেন রাতে সাড়ে এগারোটার পর এফআইআর দায়ের হল, সেই প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷

সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন্স মানা হয়নি । তাঁরা আইন জানতেন না এমনটা নয় ৷ সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীরা আইনের অবমাননা করেছেন । এই প্রকারের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অফিসার ইনচার্জের তরফ থেকে এফআইআর করা উচিত ছিল ।"

সিবিআই তরফ থেকে ভরা আদালতে এদিন জানানো হয় যে, অভিজিৎ মণ্ডল একজন অফিসার ইনচার্জ বা পুলিশকর্মী হিসেবে গ্রেফতার হননি, বরং এই ঘটনায় তিনি একজন অভিযুক্ত, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন ৷ সিবিআইয়ের দাবি, ধর্ষণ ও খুনে সরাসরি অভিযুক্ত নন টালা থানার ওসি । বরং ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া টালা থানার ওসি-কে আজ তোলা হয় শিয়ালদা আদালতে ৷ তার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে যখন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হয়, তখন সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তাঁকে জুতো দেখান উত্তেজিত জনতা ৷

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই আরজি কর-কাণ্ডে জড়িত সন্দীপ ঘোষকে হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন উত্তেজিত জনতা ৷ আদালতে তোলার সময় তাঁকে গালে খেতে হয় সপাটে থাপ্পড় ৷ শুধু তাই নয়, প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় তাঁকে জুতোর বাড়িও মারা হয় ৷ আর এবার আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত টালা থানার ওসি-কেও জুতো দেখাল মানুষ ৷ একইসঙ্গে স্লোগান ওঠে, 'কলকাতা পুলিশ হায় হায়', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'৷

প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই অভিজিৎ মণ্ডলকে কোনওক্রমে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বিআর সিংহ হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে তোলা হয় শিয়ালদা হাসপাতালে ৷

পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকেও এদিন আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছে সিবিআই ৷ আরজি করে কোটি কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হেফাজতে রয়েছেন ৷ তবে তাঁকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও গতকাল গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাই তাঁকেও আজ তোলা হয় শিয়ালদা আদালতে ৷

Last Updated : Sep 15, 2024, 5:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.