কলকাতা, 28 মার্চ: তৃণমূল শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ আপাতত পরিবর্তন করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ । শিক্ষক নেতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের বদলে তাঁকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে ৷ যেহেতু একই মামলা এখনও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে বিচারাধীন, তাই আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ । তারা বলেছে, সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ ।
তাঁর চাকরি বাতিল হওয়ার আগে সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । সেই নির্দেশের প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে, তাই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম । ডিভিশন বেঞ্চ উলটে সেদিনই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় । আজ সেই নির্দেশ নিজে থেকেই প্রত্যাহার করল ডিভিশন বেঞ্চ । ফলে আপাতত চাকরি বাতিল হচ্ছে না ওই শিক্ষক নেতার ।
সিরাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশের পরও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, "তাঁকে কোনওভাবেই চাকরিতে রাখা যায় না ।" চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাঁর চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধাও বাতিল করা হচ্ছে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ ।
এর আগে, 2001 সালের 10 জানুয়ারি তৃণমূল শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । সেই নির্দেশ অমান্য করে চাকরি করে গিয়েছেন তিনি । চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্ত করে জানিয়েছিল, বেআইনিভাবে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন সিরাজুল ইসলাম । বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ।