ETV Bharat / state

কলকাতায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট - Molestation At IT Sector

ধর্ষণের চেষ্টায় নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ জানানোর পরও নিষ্ক্রিয় পুলিশ ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 14, 2024, 10:56 PM IST

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 14 অগস্ট: আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় পুলিশি তদন্তের গাফিলতিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য । লেক থানার পুলিশের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল হাইকোর্ট । 23 অগস্ট পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ।

নতুন ফৌজদারি আইনে এমন গুরুতর অভিযোগে মহিলা পুলিশকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও পুরুষ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন থানার আইসি । মহিলা ঘটনায় অভিযোগ জানানোর পর, সেই অভিযোগপত্রের সবচেয়ে গুরুতর অংশ আংশিক বদলে তুলনায় লঘু ধারা প্রয়োগ করা হয় । যার জেরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে তোলা হলে সেদিনই তাকে জামিন দেয় আলিপুর আদালত এবং লালবাজারকে তদন্তে ত্রুটি নিয়ে সতর্ক করে ।

15 জুলাইয়ের ঘটনায় বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে এই তদন্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন । আগামী 23 অগস্ট পরবর্তী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী ওই মহিলার বাড়িতে 15 জুলাই সকালে হাজির হন পারিবারিক বন্ধু বছর 53-র ওই অভিযুক্ত । মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকে একা থাকা মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে তাঁর শরীরে নানাভাবে অত্যাচার করা হয় । শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে মহিলা কোনওভাবে মদ্যপের হাত থেকে রেহাই পান । মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার, বর্তমানে মুম্বইয়ে কর্মরত ।

মহিলা সেদিনই লেক থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ করেন । সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও পরের দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তদন্তে বহু ত্রুটি ধরা পড়ে । পুলিশের গাফিলতি বুঝেই 23 জুলাই হাইকোর্টে মামলা করেন আক্রান্ত । এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে শো-কজ করা হয়েছে । তদন্তের ভার থানা থেকে মহিলা থানায় দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন করেছে পুলিশ ।

কলকাতা, 14 অগস্ট: আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় পুলিশি তদন্তের গাফিলতিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য । লেক থানার পুলিশের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল হাইকোর্ট । 23 অগস্ট পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ।

নতুন ফৌজদারি আইনে এমন গুরুতর অভিযোগে মহিলা পুলিশকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও পুরুষ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন থানার আইসি । মহিলা ঘটনায় অভিযোগ জানানোর পর, সেই অভিযোগপত্রের সবচেয়ে গুরুতর অংশ আংশিক বদলে তুলনায় লঘু ধারা প্রয়োগ করা হয় । যার জেরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে তোলা হলে সেদিনই তাকে জামিন দেয় আলিপুর আদালত এবং লালবাজারকে তদন্তে ত্রুটি নিয়ে সতর্ক করে ।

15 জুলাইয়ের ঘটনায় বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে এই তদন্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন । আগামী 23 অগস্ট পরবর্তী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী ওই মহিলার বাড়িতে 15 জুলাই সকালে হাজির হন পারিবারিক বন্ধু বছর 53-র ওই অভিযুক্ত । মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকে একা থাকা মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে তাঁর শরীরে নানাভাবে অত্যাচার করা হয় । শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে মহিলা কোনওভাবে মদ্যপের হাত থেকে রেহাই পান । মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার, বর্তমানে মুম্বইয়ে কর্মরত ।

মহিলা সেদিনই লেক থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ করেন । সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও পরের দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তদন্তে বহু ত্রুটি ধরা পড়ে । পুলিশের গাফিলতি বুঝেই 23 জুলাই হাইকোর্টে মামলা করেন আক্রান্ত । এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে শো-কজ করা হয়েছে । তদন্তের ভার থানা থেকে মহিলা থানায় দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন করেছে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.