কলকাতা, 14 জুন: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিল না কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সংখ্যা রাজ্য ও কেন্দ্রকে আদালতে জানাতে হবে আগামী 18 জুন ৷ তারপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন, আবেদনকারীরা বলেন, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে।" এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন আবেদনকারীকে বলেন, "এটা কি বলছেন ? বাহিনী নিয়ে এই ধরনের কথা বলা যায় না ৷ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে কী বার্তা যাবে ? নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে এই ধরনের কথা বলা ঠিক নয় ৷" এরপরেই বিচারপতি জানতে চান, মোট কতগুলি স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে । সেই প্রশ্নের উত্তর রাজ্য বা আবেদনকারী কেউই দিতে পারেনি ৷ ফলে পরবর্তী শুনানিতে দু'পক্ষকেই আদালতকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
এদিন কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানান, 400 কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে 251 কোম্পানি বিভিন্ন স্কুল-কলেজে রয়েছে ৷ শনিবার রাজ্য ব্যবস্থা করলে বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা অন্যত্র সরে যাবে ৷ 21 জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার সময় বর্ধিত করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকবে সেটা নির্ধারিত করে রাজ্য। ফলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের সরানো যাবে ৷
রাজ্যের স্কুলগুলিতে দীর্ঘ গরমের ছুটিতে এমনিতেই পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরে সাত দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল বিভিন্ন স্কুলে ৷ এমনকী ভোট পরবর্তী সময়েও বেশ কিছু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পঠন-পাঠন বাধার মুখে পড়ে ৷ 10 জুন গরমের ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরেও স্কুল খুলতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। যেটা সংবিধানের 21 নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা।