জলপাইগুড়ি, 21 ফেব্রুয়ারি: বেঙ্গল সাফারিতে সিংহীর নাম কী রাখা হয়েছে ? হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ । আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে । উল্লেখ্য, সাফারি পার্কে সিংহীর নাম রাখা হয়েছিল সীতা । আর তাতেই বিপত্তি বাঁধে । সিংহীর নাম বদলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । তাদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি জেলার বেঙ্গল সাফারি পার্কে ত্রিপুরা থেকে আনা সিংহীর নাম সীতা রেখে হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত করা হয়েছে । তাই আদালতের কাছে নাম পরিবর্তন করার আবেদন জানানো হয় । এমনকি কোনও বন্যপ্রাণীর নাম যাতে হিন্দু দেবদেবীর নামে না হয় তারও আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে ৷
গত 12 তারিখ ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা হয়েছে এক জোড়া সিংহ । জানা যায়, সাফারি পার্কে আসা সিংহের নাম রাখা হয়েছে আকবর এবং সিংহীর নাম রাখা হয়েছে সীতা। । আর এই সীতা নামেই তীব্র আপত্তি রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের । তাই তারা সীতা নামের বদল চেয়ে 16 ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করে ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দুলালচন্দ্র রায় বলেন, ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে যে সিংহ ও সিংহী আনা হয়েছিল, সেই সিংহের নাম রাখা হয়েছিল আকবর ও সিংহীর নাম রাখা হয়েছিল সীতা । সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতি আঘাত করে সিংহীর সীতা নাম দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই । সীতা নাম নিয়েই আমাদের তীব্র আপত্তি রয়েছে । তাই আমরা সার্কিট বেঞ্চের দারস্থ হয়েছিলাম । আগামিকাল ফের শুনানি হবে ।রাজ্যকে রিপোর্ট সাবমিট করতে বলেছে আদালত । আমরা যেটা জানতে পেরেছি, ত্রিপুরা থেকে যে সিংহ দুটি আনা হয়েছে তাদের সরকারি নথিতে নাম লেখা ছিল প্যানথেরা লিও মেল ও ফিমেল । পাশাপাশি সিংহ ও সিংহী দুটির আইডি নম্বর দেওয়া ছিল । কিন্তু ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার পর সিংহ ও সিংহীর নাম দেওয়া হয়েছে আকবর ও সীতা । তাই সীতা নামটির পরিবর্তন চেয়ে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছি ।"
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, সিংহীর নামকরণ নিয়ে যে মামলাটি হয়েছে তা বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য শুনলেন । মামলাকারী ও সরকার উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনলেন তিনি । আদৌও সিংহীর নামকরণ সরকার করেছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি । আগামিকাল দুপুর দুটোর মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: